তানোর প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বংপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখে এক হজ্জযাত্রীর বিদায়ী খাওয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। গতকাল রোববার হজ্জযাত্রীর বিদায়ী খাওয়ার অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয় বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আর স্কুলের সামনে চলে খাওয়া-দাওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর উপজেলার বংপুর গ্রামে লাল মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী হজ্জে যাওয়ার জন্য রোববার বিদায়ী খাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বংপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টির পাঠদান প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে। কিন্তু ৫ আগষ্ট রোববার স্কুলটি বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত না চলে দুপুর ১২টার আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাভকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পাঠদান বন্ধ করে বিকেল পর্যন্ত চলে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান।
৫ আগষ্ট রোববার দুপুর ১২টার দিকে কেন বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে বংপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব বলেন, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্তু স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ সেদিন এক হজ্জযাত্রীর খাওয়ার অনুষ্ঠান ছিলো। এভাবে পাঠদান বন্ধ করে খাওয়ার অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রথমে ওই হজ্জযাত্রী আমার কাছে এসেছিল। কিন্ত আমি অনুমতি দেয়নি। পরে সভাপতি সাহেব অনুরোধ করলে আমি অনুমতি দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের পাঠদান করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সেখানে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তানোর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। পাঠদান বন্ধ করে কোন খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। সভাপতিও এ ধরণের অনুমতি দিতে পারেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাঠদান বন্ধ রেখে কিছু করার সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নফীসা বেগম বলেন, স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। স্কুলের সভাপতি বিদ্যালয় বন্ধ করার অনুমতি দিতে পারেন না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ্গ্রহণ করা হবে।
২৪ঘণ্টা/এমকে