তানোর প্রতিনিধিঃ তানোরে কাল বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে বোরো ধানসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ফলে এলাকার ধান ও রবি ফসলের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টি’র কারনে শীষ বের হওয়া বোরো ধান হেলে মাটি’র সাথে শুয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকদের মুখে হতাশার চিহৃ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, আগাম লাগানো বোরো ধানের শীষ বের হয়ে আধা পাকা অবস্থায় থাকা ধান গুলো মাটি’র সাথে হেলে গেছে। এত করে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে ঝড়ে এলাকার গাছে থোকায় থোকায় ধরে থাকা আম ঝরে পড়ায় আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভুট্টা, লিচু ও কলাসহ সাজিনা গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।
এনিয়ে তানোর কামারগাঁ গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, তিনি এ বছর ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি, বর্তমানে তার জমি আধাঁ পাকা ধান হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ের কারনে জমির ধান মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে। ফলে তার জমির বোরো ধানের ফলন কম হবার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিষযটি নিয়ে তানোর পৌর এলাকার তালন্দ উপর পাড়া গ্রামের আমচাষী সাত্তার সোনার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি’র কারনে আমার বাগানে থোকায় থোকায় ধরে থাকা আমের কড়ালী ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি’র মুখে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে উপজেলার প্রায় গাছের অর্ধেক আম কড়ালী ঝরে পড়েছে।
তানোর পৌর এলাকার বেলপুকুরিয় গ্রামের গোলাম রাব্বী বলেন, আমার ২বিঘার লিচু বাগানের লিচু’র গুটি গুলো ঝরে পড়েছে। ফলে এবছর অন্য বছলের চেয়ে ফলন কম হবে।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে আগাম বোর ধান ও আম লিচুর কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি জমিতে ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে ধান কেটে নিতে। আবার আলুর জমিতে বোর ধানের উপকার হয়েছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। আর ক্ষতি নির্ধারনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের একটি ফরম দেওয়া আছে। তারা আমাদের তালিকা দিলে আমরা ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করবো।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ