কিছু দিন আগে বিসিবি সভাপতি এমন একটা অভিযোগ করেছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা নাকি টেস্টে ‘ওয়ানডে’ খেলেন, আর ওয়ানডেতে ‘টেস্ট’। তাঁর কথাটা হয়তো ছিল কথার কথা। কিংবা ক্রিকেট দলের নানা ব্যর্থতায় অভিমান করেই বলেছিলেন এটি। কিন্তু আজ ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ দল যেন বিসিবি সভাপতির কথাটা বাস্তবে রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে কোথায় ধবল ধোলাই এড়ানোর লড়াই করবেন তাঁরা, মাঠে টেস্ট না ওয়ানডে কী খেলতে নেমেছেন, সেটিই যেন ভুলে গেলেন। রীতিমতো ‘টেস্ট’ খেলে কিউইদের ৩১৯ রানের জবাবে ১৫৪ রান করে হারের মুখ দেখলেন তারা। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিন কোথায় বাড়তি উদ্দীপনায় উদ্ভাসিত হবেন তাঁরা, তা নয়, উল্টো নির্বিষ আর প্রেরণাহীন ক্রিকেট খেললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররা, হারলেন ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিজ্ঞাপন
৩১৯ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছোটাটা কঠিন হবে—এটা জানা ছিল। কিন্তু তাই বলে, ক্রিকেটারদের মধ্যে সামান্য চেষ্টাটা থাকবে না। ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুরুর ধাক্কাটা সেই যে গোটা দলকে খোলসের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল, তা থেকে আর বেরিয়েই আসা গেল না। আধুনিক যুগে ওয়ানডে ম্যাচ মানেই রানের ফুলঝুড়ি, চার–ছক্কার ছড়াছড়ি। ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে সেটি ঠিকই দেখা গেল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং যেন পড়ে রইল সেই ‘প্রস্তর যুগে’ই। আজ ২০২১ সালে এসেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে সেই ১৮–১৯ বছর আগের ব্যাপারটা দেখা গেল। যখন প্রতিপক্ষ আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে বড় কোনো সংগ্রহ জমা দেওয়ার পরপরই ম্যাচ জয়ের আশা ছেড়ে ‘সম্মান রক্ষা’র লড়াইয়ে নামত বাংলাদেশ দল। আজ ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের ৩১৮ রানের জবাবে কিন্তু সে কাজটাও করা যায়নি।
তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের ওপেনিং জুটিতে রান এসেছে ১০। নিউজিল্যান্ড সফরের তিনটি ওয়ানডেতেই তারা ব্যর্থ হলেন। তবে আজ তামিম ফিরেছেন শুরুতেই। লিটন কিছুক্ষণ টিকে ছিলেন। কিন্তু ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। ট্রেন্ট বোল্ট আর ম্যাট হেনরির বোলিংয়ের সামনে নিজেকে কেমন যেন গুটিয়ে রেখেছিলেন লিটন। হেনরির বলে পুল করতে গেলে তা যখন থার্ড ম্যানের দিকে বাতাসে ভাসছিল, সেটিই দৌড়ে এসে এক হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন বোল্ট। এমন ক্যাচে উইকেট হারিয়ে এরপর যেন গোটা দলের ওপরই আতঙ্ক ভর করল। মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম কেউই নিজেদের ফিরে পেলেন না। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মিঠুন সংগ্রামের ইতি টানেন ৩৯ বলে মাত্র ৬ রান করে। মুশফিকুর রহিম ৪৪ বলে করেন ২১। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কতটুকু খোলসে ঢুকিয়েছিলেন, এই দুটি ইনিংস সেটিরই প্রমাণ। এর আগে অবশ্য সৌম্য সরকার খোলসের বাইরে বের হতে গিয়ে পরিচয় দিয়েছেন আর্ও একটি ব্যর্থতার।
জেতার চেষ্টাই করল না বাংল
কিছু দিন আগে বিসিবি সভাপতি এমন একটা অভিযোগ করেছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা নাকি টেস্টে ‘ওয়ানডে’ খেলেন, আর ওয়ানডেতে ‘টেস্ট’। তাঁর কথাটা হয়তো ছিল কথার কথা। কিংবা ক্রিকেট দলের নানা ব্যর্থতায় অভিমান করেই বলেছিলেন এটি। কিন্তু আজ ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ দল যেন বিসিবি সভাপতির কথাটা বাস্তবে রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে কোথায় ধবল ধোলাই এড়ানোর লড়াই করবেন তাঁরা, মাঠে টেস্ট না ওয়ানডে কী খেলতে নেমেছেন, সেটিই যেন ভুলে গেলেন। রীতিমতো ‘টেস্ট’ খেলে কিউইদের ৩১৯ রানের জবাবে ১৫৪ রান করে হারের মুখ দেখলেন তারা। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিন কোথায় বাড়তি উদ্দীপনায় উদ্ভাসিত হবেন তাঁরা, তা নয়, উল্টো নির্বিষ আর প্রেরণাহীন ক্রিকেট খেললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররা, হারলেন ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিজ্ঞাপন
৩১৯ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছোটাটা কঠিন হবে—এটা জানা ছিল। কিন্তু তাই বলে, ক্রিকেটারদের মধ্যে সামান্য চেষ্টাটা থাকবে না। ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুরুর ধাক্কাটা সেই যে গোটা দলকে খোলসের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল, তা থেকে আর বেরিয়েই আসা গেল না। আধুনিক যুগে ওয়ানডে ম্যাচ মানেই রানের ফুলঝুড়ি, চার–ছক্কার ছড়াছড়ি। ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে সেটি ঠিকই দেখা গেল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং যেন পড়ে রইল।