জামায়াত-শিবিরে বিএনপির রক্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি হত্যাচেষ্টা মামলায় শিবির ক্যাডার নাছিরের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতে আসেনি’ শীর্ষক স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপির মদদে জামায়াত-শিবির ১৯৯২ সালে ৫ মে ফটিকছড়িতে ট্রাক ও বাসে করে এসে ছাত্রলীগের সম্মেলনে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করেছে। সম্মেলনে সরাসরি শিবির ক্যাডার নাছিরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছিল। আসার পথে আমাদের গাড়ির ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে। তখন পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা হারুন বসরকে আমার গাড়ি থেকে নামিয়ে আমার সামনে রাইফেল দিয়ে শিবির ক্যাডার নাছির হত্যা করেছে। আমি মাননীয় আদালতের কাছে সাক্ষী দিয়েছি। যদি আবার সাক্ষী দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি আবারও আদালতে সাক্ষী দেবো।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা হারুন বসরকে হত্যা না করে আমাকে হত্যা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা হারুনকে হত্যা করেছে। হারুন হত্যায় শিবির ক্যাডার নাছিরের ফাঁসি হওয়া উচিত। খুনিদের সমাজে থাকা উচিত নয়। প্রত্যেক হত্যার বিচার হতে হবে। আমরা চাই দ্রুত বিচার শেষ হোক। আশা করি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী সহ সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন শাহ, দেবাশীষ পালিত, সদস্য বেদারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি হত্যাচেষ্টা মামলায় শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতে না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
ফটিকছড়ি থানার মামলা নম্বর: ০৬(৫) ১৯৯২, জি.আর নম্বর ৩৭/১৯৯২। মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামি ২৬ জন। এদের মধ্যে শিবির ক্যাডার নাছির এক নম্বর আসামি।
জেএন