1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচন হবে আগামীতে অভিন্ন প্রতীকে - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচন হবে আগামীতে অভিন্ন প্রতীকে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন হবে আগামীতে অভিন্ন প্রতীকে অনুষ্ঠিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এলক্ষ্যে এরইমধ্যে একটি কমিটিও গঠণ করে দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে এক ধরনের প্রতীক করতে কোন আইনি জটিলতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে কমিশন গঠিত এই কমিটি। আইনী পর্যালোচনা ইতোমধ্যে শেষও হয়েছে। খুব শিগগিরই কমিটি অভিন্ন প্রতীকে সব নির্বাচন করার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রার্থীদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এ ইস্যুতে রীতিমত গলদঘর্ম রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রতীক বরাদ্দকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। তাই উটকো এই ঝামেলা এবং সমালোচনা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে অভিন্ন প্রতীকের চিন্তা করছে ইসি।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে প্রতীক। একইভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর (জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ) জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক নিদিষ্ট রয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদের জন্য প্রতীক নির্ধারিত আছে ৬৪টি, যার মধ্যে নিবন্ধিত দলকে দেয়া হয়েছে ৩৯টি প্রতীক। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধন পাওয়া দলগুলোকে সংরক্ষিত ওই প্রতীক থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে। এবার নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৭৬ দল; সবগুলো নিবন্ধিত হলে প্রকীত সংকটে পড়তে হবে কমিশনকে। একই ভাবে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৪টি প্রতীকের মধ্যে চেয়ারম্যান পদের ১২টি, সংরক্ষিত মহিলা পদের ১০টি ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য রয়েছে ১২টি। আর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের জন্য ৩৯টি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১২টি, সংরক্ষিত ও সাধারণ পদে যথাক্রমে ১০টি ও ১২টি। উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৩৯টি করে এবং চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১৪টি প্রতীক রয়েছে। পৌরসভা ও ইউপিতে একই ধরণের প্রতীক রয়েছে।

কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোর জন্য পৃথক প্রতীক থাকলেও কোন নির্বাচনের জন্য নিদিষ্ট কি প্রতীক রয়েছে, অনেক সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের নির্বাচনের নানামুখি প্রস্তুতির কারণে প্রতীক বরাদ্দ দিতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেন। সম্প্রতি একটি নির্বাচনে নীতি-বহির্ভূত এক প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে বিব্রতকর ঘটনা ঘটিয়েছে মাঠ পর্যায়ের এক রিটার্নিং কর্মকর্তা; পরিস্থিতি সামলাতে তাকে বরখাস্ত করে কমিশন। তাই কমিশনের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, জেলা পরিষদ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের অন্য নির্বাচন দলীয় হওয়ার কারণে অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করাতে কমিশনের জটিলতা অনেক কমে আসবে।

তথ্যমতে, ইসির মাঠ প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়। জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন তারা। সম্প্রতি এক কর্মকর্তাকে স্থানীয় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়; ওনি কমিশন সচিবালয়েও কিছুদিন চাকরি করেছিলেন। এই কর্মকর্তা ২০০৫ সালে থানা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন।

সম্প্রতি নোয়াখালিতে দায়িত্ব পালন করার সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় সরকারের একটি পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে ইসি ওই কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তা করেন। কিন্তু পৌরসভার নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পছন্দের প্রতীক দিয়ে পুরো নির্বাচনটি ভ-ুল হওয়ার উপক্রম হয়। কারণ প্রার্থীর চাহিদানুযায়ী দেয়া প্রতীকটি পৌরসভা নির্বাচনের জন্য নিদিষ্ট তালিকাতে ছিল না। এ নিয়ে ব্যালট ছাপানোসহ নানা জটিলতার সম্মুখিন কমিশনকে হতে হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে ন্যস্ত করেছে কমিশন।

ইসির একজন উপ-সচিব খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনেক ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি, অনেক সময় প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে পছন্দ-অপছন্দ থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে, পছন্দের প্রার্থীর চাওয়া প্রতীকের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তায় ঝামেলায় পড়ে যান। কারণ ব্যালট মুদ্রুণের সময় কমিশনের নির্ধারিত প্রতীকের বাইরে ব্যালটে ভিন্ন প্রতীক প্রার্থীর অনুকূলে ছাপানোর বিধান নেই। যদি ভুল করে একটি নির্বাচনের প্রতীক অন্য নির্বাচনে ঢুকে যায়, তাহলে পুরো মুদ্রিুত ব্যালট বাতিল করে পুনরায় তা ছাপতে হয়। নোয়াখালির একটি পৌরসভায় এ ধরণের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে অন্যত্রে বদলি করেছে।

সূত্রমতে, নোয়াখালির পৌরসভা নির্বাচনে ভুল প্রতীক প্রার্থীকে দেয়ার পর অভিন্ন প্রতীকে জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচন আগামীতে অনুষ্ঠানের তাগিদ অনুভব করে কমিশন। পরে একটি সাব-কমিটি গঠন করে অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনের বিষয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। গঠিক কমিটি অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করাতে কোন জটিলতা নেই, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনকে প্রস্তাব করতে যাচ্ছে। কমিশনের অনুমোদন পেলে আগামীতে সব নির্বাচন হবে অভিন্ন প্রতীকের আলোকে। এর ফলে প্রার্থীদের পছন্দ-অপছন্দ থাকলেও প্রতীক নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে না বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST