খবর২ ৪ঘণ্টা, ডেস্ক: দেশে এক দিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে আয়বৈষম্য। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ৭ম জাকাত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেন।
সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এই জাকাত মেলার আয়োজন করে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘আয়বৈষম্য কমাতে জাকাত ও কর’ শীর্ষক এক সেমিনার।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। এখন তা ২০ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, আয় বাড়ছে; এটি একদিকে ভালো খবর।
তবে কোটিপতি বা আয় বৃদ্ধির সঙ্গে আয়বৈষম্যও যে বাড়ছে, এটি একটি খারাপ দিক বলে মনে করেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘সবকিছুই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জাকাতের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর হতে পারে। তবে দেশের বিশাল একটি অংশ জাকাত বিষয়ে সচেতন নয়। সরকারের সব প্রকল্পে দরিদ্র ব্যক্তিরা কতটুকু উপকৃত হবে, তা মাথায় রাখা হয়। কর মেলা করে আমরা উপকৃত যেমন হয়েছি, জাকাত মেলার মাধ্যমে উপকৃত হওয়া যাবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রীর মতো মির্জ্জা আজিজুল ইসলামও বলেন, ‘দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে এবং আয়বৈষম্যের আন্তর্জাতিক পরিমাপ অনুযায়ী এ বৈষম্য এখন অতিমাত্রার বলে ধরে নেওয়া হয়। আমরা সেই অবস্থানেই আছি।’
মির্জ্জা আজিজ বলেন, দারিদ্র্য ও আয়বৈষম্য কমাতে জাকাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করের ক্ষেত্রে যেমন অনেকে কর ফাঁকি দেয়, তেমনি অনেকে জাকাতও ফাঁকি দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগে জাকাত দেওয়া হয় কিন্তু তা টেকসই নয়। জাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় রূপ দিয়ে বেশিসংখ্যক মানুষকে সাহায্য করা যেতে পারে।
কোটিপতির সংখ্যা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী অনুষ্ঠানে কোনো তথ্য দেননি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশে কোটিপতি আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন