সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাটমোহরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল,ককটেল বিস্ফোরণ,সমিতির সভাপতিসহ আটক ৪

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭ ৪:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনা ব্যুরো: বিক্ষোভ মিছিল, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে পাবনার চাটমোহরে ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘট চলাকালে উচ্ছৃঙ্খলভাবে মিছিল করা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করার দায়ে উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সমিতির সভাপতিকে আটকের প্রতিবাদে ধর্মঘট সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বর্ধিত করে পূর্নদিবস ধর্মঘট পালন করা হয়।
এর আগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং চারজন ব্যবসায়ী নেতাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পাবনার চাটমোহরে মঙ্গলবার আধাবেলা ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পূর্বঘোষিত আধাবেলা ধর্মঘট মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দোকানপাট বন্ধ রেখে শান্তিপুর্নভাবে পালন করছিলেন চাটমোহর পৌর সদরের সকল ব্যবসায়ী। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। জোরদার করা হয় পুলিশের টহলও। সকালের দিকে ধর্মঘট সফল করতে পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে শোডাউন দেন ব্যবসায়ী নেতারা। সকাল ১১টার দিকে উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিদ্যুতের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি থানা মোড়ের আমতলায় পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পরপর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে যোগ দিয়ে ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করে এবং ধর্মঘট বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে।
পরে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সমিতির চলনবিলাঞ্চলের প্রতিনিধি বেলাল হোসেন স্বপনসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধর্মঘটের সমর্থনে মাইকিং বের হলে উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে মাইক জব্দ ও দুইজনকে আটক করে পুলিশ। বেলাল হোসেন স্বপন ছাড়া আটক বাকী তিনজন হলো-ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য তাইজুল ইসলাম, অফিস সহকারি খলিল হোসেন ও ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন।
উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি জিয়ারুল হক সিন্টু জানান, সমিতির ডাকা আধাবেলা ধর্মঘট শান্তিপূর্নভাবে পালনের সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সেইসাথে আওয়ামীলীগ-যুবলীগের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা সমিতির সভাপতিসহ চারজনকে আটক ও ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আধাবেলার ধর্মঘট সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আহসান হাবীব জানান, মাইকিং করে উস্কানী দেয়া ও সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। সেইসাথে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বেলা সাড়ে তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।
উল্লেখ্য, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ঝোন্ডল মন্ডল ও তার সহযোগীরা গত ১৬ ডিসেম্বর চাটমোহর পৌর সদরের জননী বস্ত্রালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও মালিক তৌহিদুল ইসলাম তুহিনকে মারধর করে। পরে এ বিষয়টি জানতে গেলে সন্ত্রাসীরা চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিদ্যুৎসহ চার ব্যবসায়ীকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় থানায় দু’টি মামলা করলে পুলিশ সন্ত্রাসী মিলনকে গ্রেপ্তার করলেও অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়। তাই সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকেলে চাটমোহর থানা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয়।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।