1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
গোমস্তাপুরে সেতুর জন্য ১৮১০ হেক্টর জমির ধান ঘরে তুলতে বেকায়দায় কৃষকরা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন

গোমস্তাপুরে সেতুর জন্য ১৮১০ হেক্টর জমির ধান ঘরে তুলতে বেকায়দায় কৃষকরা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ইসলামপুরগঞ্জ বিল কুজোইন ঘাট এলাকার একটি ৯০ মিটার সেতুর কারণে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান ঘরে তুলতে চরম বে-কায়দায় পড়তে হচ্ছে ওই এলাকার কৃষকদের। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ওই এলাকার কৃষকগণ রমেশ্বপুর মৌজার বড় রমেশ্বর, কালিগুয়াল, গুমরোল ও জওবাড়িসহ আরও পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের আংশিক জমির ধান বিলকুজাইন ঘাট দিয়ে বহন করে নিয়ে আসতে হয় কৃষকদের। এ বাঁশ ও কাঠের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো তৈরী করে ট্রাকটরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে কৃষকের। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার

আশংকা রয়েছে। কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুরগঞ্জ মৌজায় ২০২১ সালে ১৮১০ হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়েছে। ওই এলাকার ইসলামপুরগঞ্জের কৃষক সোলাইমান বলেন, আমার রমেশ্বর মৌজায় ৩০ বিঘা জমি রয়েছে সেই জমির ধান আনতে আমাকে অনেক বেগ পোহাতে হয়। তৎকালীন এলাকার পর পর ২জন সংসদ সদস্য থাকার পরেও তাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হয়নি। ২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিলকুজাইন ঘাট পরিদর্শন করে এলাকার কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করে ছোট একটি সেতু করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায়নি। তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ওই এলাকার শত শত ভ‚ক্তভোগী কৃষকরা। আরো রোকনপুর

দক্ষিণপাড়া গ্রামের একজন কৃষক মঞ্জুর হোসেন বলেন, এই মৌজার তার ৭ বিঘা জমি রয়েছে বছরে একবার মাত্র আবাদ হয়। কিন্তু এই ধান ঘরে তুলতে আমাদের খুব বেগ পোহাতে হয়। শুধুমাত্র একটি সেতুর কারণে। এই ধান উঠার মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি হলে তখন রাস্তাঘাট কাঁদা হয়ে গেলে কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। তখন অনেক কষ্ট করে ধান মাড়াই করে কৃষকদের মাথায় করে ঘরে নিয়ে আসতে হয় এবং ওই কাঠের তৈরি সাঁকো ডুবে যায়। এতে দুর্দশা চরমে উঠে। অপর কৃষক সফর আলী বলেন, এই মৌজার কালিগুয়াল ও গুমরোল এলাকায় তার ২৫ বিঘা জমি চাষ করেন। তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন ‘কত সরকার এলো গেলো? কিন্তু এই এলাকার

কৃষকদের দুঃখের কথা কেউ শুনলো না ? কতজন আশ্বাস দিল কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতুতে একটি পোল পর্যন্ত স্থাপন করতে পারলো না। আমাদের জমির ধান আনতে এত কষ্ট হয় যে পারিনা আমরা জমির ধান জমিতে ফেলে রেখে পালিয়ে আসি। কিন্তু কি করার আছে পেটে খেতে হবে তাই আমরা বহু কষ্ট করে জমির ধান ঘরে নিয়ে আসি।’ এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম বলেন, ছোট সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর সাথে দেখা করে ডিও লেটার প্রদান করা হয়েছে।তাদের একটি প্রতিনিধিদল আসার কথা ছিল কিন্তু করোনাকালীন সময় হওয়ায় তারা আসতে পারেনি। তবে দ্রুত তারা জায়গাটি পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন। গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মিজানুর রহমান বলেন, ওই এলাকাটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এলজিডি’র সাথে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে

আমরা লিখব বলে জানান। অপরদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ওই মৌজাটি যেহেতু ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। তাছাড়া সীমান্তের ৪ কিলোমিটারের ভিতরে কোনো স্থাপনা তৈরি করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। এমন জটিলতার কারণে ইতিপূর্বে সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য মাপযোগ করে সেতু নির্মাণ এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু কোন স্থাপনা তৈরি করতে কিন্তু সীমান্ত এলাকার ৪ কিলোমিটার এর ভেতরে কোনো স্থাপনা তৈরি করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। সেই কারণে

সেতু নির্মাণ করা যায়নি। তাই অনুমতি পেলে আমরা সেতু নির্মাণ করব। রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, সেতু নির্মাণ এর জন্য ইতিপূর্বে এর এলজিইডি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মাপ যোগ করে পাঠানো হলে। সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কখন যে হয় এটা দেখার বিষয়?

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST