1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
গোদাগাড়ী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীরা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন

গোদাগাড়ী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীরা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ জুলা, ২০১৮
গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবা সুলতানার সীমাহিন দুর্নীতি, অসদাচরণ ও বেপরোয়া চলাফেরায় জিম্মি হয়ে পড়েছে ওই অফিসের কর্মচারী ও প্রশিক্ষানার্থীরা।

একরম তার কাছে জিম্মি হয়েছে পড়েছে বাংলাদেশ সরকারের হতদরিদ্রদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্পের গোদাগাড়ী উপজেলার প্রশিক্ষনার্থীরা।

বেপরোয়া এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাউকে কোন কিছুই তোয়াক্কা না করেই সিমাহীন অনিয়ম কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। সরকারি অফিস রুলের বাইরে দীর্ঘদিন হতে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান সরকার নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি করে গড়ে তোলার জন্য হতদরিদ্রদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলাদের দর্জি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দুই মাস ব্যাপি এই প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য একটি বড় বিল্ডিং ঘরা ভাড়া ও সেলাই মেশিন দ্বার প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। কিন্ত সেই সব নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই তার নিজ অফিসের ডাইনিং এ প্রশিক্ষাণার্থদের কে ঠাসাঠাসি করে বসিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

সে নিজেও অফিয় নিয়মিত না করলেও প্রশিক্ষাণার্থীদের জন্য ছিলো নিয়ম কড়াক্রান্তি। কোন কারনে কোন প্রশিক্ষানার্থী নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট হতে আধাঘন্টা আসতে দেরী করলে তাকে অনুউপস্থিত দেখিয়েছে। আর সেই অনুপস্থিতির উপর প্রশিক্ষার্থীদের পাওয়া টাকা কেটে নিজেই রেখে দিয়েছে। আবার কোন কোন প্রশিক্ষানার্থী ছুটি নিলেও তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে সরকার প্রদত্ত টাকা কেটে নিয়েছে। এসব কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে তার সাথে মুখের ভাষা খারাপ ও গালিগালাজ শুরু করে।

অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে এই প্রশিক্ষনে তেমন কিছুই শিখতে পারেনি প্রশিক্ষনার্থীরা। কোন সময় গল্প করে কখনো অফিসের বাইরে সময় কাটিয়ে বাড়ী ফিরে এসেছে তারা।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশিক্ষার্থীদের ৬০ দিনের জন্য ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ আসলেও সে ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করছে। এরই মধ্যে যাদেরকে খাতা কলমে অনুপস্থিত দেখিয়েছে তাদের টাকা কেটে নিয়ে প্রদান করছে। আবার সে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নামের এক প্রতিষ্ঠানের বই কেনাতে বাধ্য করছে। কেউ কিনতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তার টাকা কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করছে ফলে অনেকেই বাধ্যহয়ে সেই বইকিনছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে অফিসে বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে মহিলাদের নিকট বই কিনতে বাধ্য করছে।

আর তার অফিসের অধিনস্ত কর্মচারীদর উপর খারাপ ব্যবহার তো নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। তার বেপরোয়া চলাফেরা ও খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তার কাছে।

দর্জিসেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্পের জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ রওশন আরা বেগম সভাপতি থাকলেও তাকে কোন কিছু না জানিয়েই নিজের মত করে কাজ করছে। প্রশিক্ষানার্থদের জন্য কত টাকা বরাদ্দ ও নিয়ম কানুন কি আছে তা কিছুই জানেন না বলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা একজন বেপরোয়া মেয়ে তার স্বামী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ার জন্য সব কিছু অনিয়ম কাজ করে দাপট দেখায়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা আরো জানান, আজ রোববার মেয়েদের প্রশিক্ষনের একদলের শেষ হচ্ছে আর  আরেক দলের শুরু হচ্ছে এত টুকুই জানি এর চেয়ে বেশীকিছু জানি না। তবে মেয়েদের প্রশিক্ষনার্থীদের নামের তালিকাগুলো সই-স্বাক্ষর করতে এসে ছিলেন বলে জানান।

মহিশালবাড়ী গ্রামের তামান্না বলেন, আমার পরীক্ষা থাকাই ছুটি নিয়েছিলাম  তবুও অনপস্থিত দেখিয়ে ৮ শত টাকা কেটেছে। নাসরিন নামের প্রশিক্ষনার্থী  বলেন আমি প্রতিদিন আসলেও আমার  ৩ শত টাকা কেটে নিয়েছে ।

শ্যামলী নামের এক স্বামীহারা প্রশিক্ষনার্থী জানান, আমি খুবই গরীব মানুষ সংসার সামলিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। কোন সময় আসতে দেরী হলেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে দুই হাজার টাকা কেটে নিলেও পরে ১ হাজার টাকা কেটে টাকা প্রদান করেন। এমনি অভিযোগ সকল প্রশিক্ষনাথীদের । তার জানান আমরা এসব অনিয়মের প্রতিবাদ জানাতে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এসেছি।

গোদাগাড়ী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোসাঃ মাহবুবা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের অভিযোগ ঠিক  না বলে দাবি করেন। টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়য়ে বলতে তিনি বলেন, যারা অনুপস্থি আছে তাদের টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে এই টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারের কাছে ফেরত যাবে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সকল প্রশিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিতে গেলে বলে জানালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যা করার ইউএনও আমাকে করবে তাবে আপনাদের এত মাথা ব্যাথার করণ কি হলো।

অভিযোগের  বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার মারা যাওয়াই আমি ব্যস্ত আছি । কাটা কেটে প্রশিক্ষনার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বলে অবগত করা হলে তিনি বলেন কেন তিনি টাকা কাটবেন । বিষয়টি আমি দেখছি বলে জানান।

প্রশিক্ষার্থীরা বলেন,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসে না থাকাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST