সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাশনিবার , ২ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোদাগাড়ীতে আ’লীগের দু-পক্ষের উত্তেজনা

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ২, ২০১৭ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ এমপি প্রার্থীদের প্রচারনা নিয়ে গোদাগাড়ীতে দুই পক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। শনিবার বিকেলে শহিদ ফিরোজ চত্ত্বরে উভয়পক্ষ অবস্থান নিলে টানটান উত্তেজান দেখা দেয়। এই সময় গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। জানাযায়, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের ৭ নেতা নিজেদের গোদাগাড়ী তানোর আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে গোদাগাড়ী সদরে নৌকার পক্ষে প্রচার চালানোর প্রস্তুতি নেয়। এই বিষয়টি গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ অবগত হলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি নেয়। শনিবার বিকেল ৩ টা হতে শহিদ ফিরোজ চত্ত্বরে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগি সংগঠন অবস্থান নেয়। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে ফিরোজ চত্ত্বরে অবস্থান নেয় । গোদাগাড়ী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবুু, জেলা-আ’লীগ সহ সভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়া, এ্যাড. মকবুল হোসেন খাঁন, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি একেএম আতাউর রহমান খান, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুল অহাব জেমস সহ কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী গোদাগাড়ী পৌর সভায় অবস্থান করে। বিকেল ৪ টার দিকে ঐক্যবন্ধ হয়ে ফিরোজ চত্ত্বরে আসতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,শ্রমিকলীগ তাদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে পুলিশ উভয় পক্ষকে বাধা প্রদান করে। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের নেতারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে। উপজেলা আওয়ামীগ সভাপতি বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর যুবলীগ সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ বাবু, সাধারণ সম্পাদক আরব আলী, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হামিদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র ও নিয়ম কানুন না মেনে তারা নাকি নৌকার পক্ষে প্রচারনা চালতে এসেছে তা শুভ নয়। কেউ এমপি প্রার্থী হতেই পারে তবে নৌকার প্রচার প্রচারনা চালাতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগি সংগঠনকে জানিয়ে করবে কিন্ত তা না করে তারা আওয়ামীলীগের মধ্যে ফাটল ধরাতে এমন কাজ করছে।

সাত প্রার্থী দাবিকরা নেতাদের গোদাগাড়ী সদর ও মহিশালবাড়ীর দিকে জনংযোগ করার কথা ছিলো।
দুই পক্ষের উত্তেজান বিরাজের এক পর্র্যায়ে পুলিশ সাত প্রার্থী দাবিকৃতদের গোদাগাড়ীর আবুল কাশেম এ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের দিকে যেতে সহায়তা করে। সেখানে গিয়ে তারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও রাজশাহী-১ আসনের এমপি ফারুক চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন এরা দলকে শেষ করে ফেলছে। একই সাথে তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করে এমন বাধায় তারা ভয় পাই না। আগামীতেও তারা সংগঠিত ভাবে যে কোন ভয়কে উপেক্ষ করে আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা ব্যক্ত করেন।
শেষ পর্যন্ত ফিরোজ চত্ত্বরে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ অবস্থান করছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

 

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।