বিনোদন,ডেস্ক: বৃহস্পতিবারেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হয়েছিলেন কাইফ। ‘আস্ককাইফ’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে যেখানে ভক্তরা নিজেদের মনের কথা শেয়ার করলেন ক্রিকেটারের সঙ্গে।
সোশ্যাল মিডিয়া বড় বিচিত্র ‘ঠিকানা’। সাবেক বৈঠকি আড্ডার ভার্চুয়াল দুনিয়া। সেখানেই নিজেদের পরিসরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তুলে ধরেন নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা-কল্পনা! পাড়ার থিম পুজো থেকে সেলেব্রিটিদের অন্দরমহল, কী না থাকে এই অদৃশ্য জগতের আলোচনার পরিধিতে। মহম্মদ কাইফ ও ক্যাটরিনা কাইফ যেমন এবার টের পেলেন সেলেব হওয়ার জ্বালা। তাঁদের শুনতে হল, অদ্ভুত প্রশ্ন, কেন দু’জনের পদবি এক!
শেষ বারো বছর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটেই খেলতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রিয় সতীর্থ। তবে সম্প্রতি সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।
যাই হোক, বৃহস্পতিবারেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ‘আস্ককাইফ’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে যেখানে ভক্তরা নিজেদের মনের কথা শেয়ার করতে পারবেন তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে। এমন প্রশ্নোত্তর সেশন চলার সময়েই এক প্যারোডি অ্যাকাউন্ট থেকে ভেসে আসে অদ্ভুত কৌতূহল। ‘দ্য লাইং লামা’ নামের সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কাইফকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘‘স্যার আপনি কি কোনও ভাবে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে যুক্ত? যদি না হন, তাহলে ভবিষ্যতে কোনও লিঙ্ক আপের সম্ভবনা রয়েছে?’’
স্পষ্টতই ট্রোলিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে করা প্রশ্নকে এড়িয়ে যাননি কাইফ। তিনি স্মার্টলি উত্তর দেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত নয়। আপাতত সুখী বিবাহিত জীবন-যাপন করছি। তবে ক্যাটরিনার পদবি কী ভাবে ‘কাইফ’ হল, তা নিয়ে বেশ চিত্তাকর্ষক একটি কাহিনি শুনেছিলাম।’’
এর পরেই টুইটারেত্তিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিভিন্ন সম্ভাব্য কারণ জানাতে থাকেন পর পর টুইটে। সেখানেই এক জন পোস্ট করেন ক্যাটরিনার ‘কাইফ’ পদবি প্রাপ্তির রহস্য! সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘‘ক্যাটরিনার মা একজন ব্রিটিশ। যদিও জন্মসূত্রে ক্যাটরিনা ভারতীয়। ভারতীয় কানেকশন উনি বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশেই কাইফ পদবি বাঁচিয়ে রাখতে চান ক্যাটরিনা। ২০০৩ সালে সিনেমার নির্মাতা আয়েশা শ্রফ ও কাইজাদ গুস্তাদ ক্যাটরিনাকে ‘বুম’ সিনেমায় লঞ্চ করেছিলেন। তাঁরাই দাবি করেছিলেন, ক্যাটরিনার পদবি ‘টারক্যুয়েট’ ভারতীয় দর্শকদের কাছে উচ্চারণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ‘কাজি’ পদবি দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হয়। তবে সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার কাইফের নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই ক্যাটরিনার পদবি দেওয়া হয় ‘কাইফ’।’’
‘কোরা’ নামের এক ওয়েবসাইটেও এক ব্যবহারকারী প্রায়ই একই ধরনের দাবি করা করেছেন। বলা হয়েছে, হংকংয়ে ক্যাটরিনা জন্মগ্রহণ করেন। ক্যাটরিনার কাশ্মিরী পিতা এবং ব্রিটিশ মায়ের নাম যথাক্রমে মহম্মদ কাইফ ও সুসানে ‘টারক্যুয়েট’! বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পরে কাইফ নাকি পিতৃত্বের পরিচয় আগলে রাখতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই ক্যাটরিনার নামের পাশে জ্বলজ্বল করে ‘কাইফ’ পদবি! এই দাবি মানলে ক্যাটরিনার পিতার নাম এবং বিখ্যাত ক্রিকেটারের নাম এক— ‘মহম্মদ কাইফ’।
জোড়া সেলেব্রিটির ‘কাইফ’ পদবি যে ‘নেমসেক’ গল্পের প্লটকেও হার মানায়, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ-ই নেই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন