রাবি প্রতিনিধি: ‘কোটা কখন সন্মানের মানদন্ড হতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম।
কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে দেওয়া বক্তব্য গেজেট আকারে প্রকাশের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১২টার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, অনেকে দাবি করেন কোটা নাকি সন্মানের মানদন্ড? তাহলে কোটায় নিয়োগ পাওয়া ডাক্তার যারা তারা কেন নাম প্লেটে নামের পাশে কোটাধারী লেখে না? কোটা নয় বরং মেধায় হলো সন্মানের মানদন্ড। আপনারা জানেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশেগুলোর মধ্যে কুটনৈতিক দিক থেকে সবথেকে বেশী দূর্বল এর প্রধান ও অন্যতম কারণ হলো কোটা ব্যবস্থা। তাই আমরা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানায়।
সমাবেশের আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একই জায়গা থেকে এক বিভোক্ষ মিছিল বের করে তারা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বের স্থানে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে তারা বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যর ঠাই নাই, পাঞ্জেরী গো পাঞ্জেরী প্রজ্ঞাপনের কত দেরী, আর নয় কালক্ষেপন দ্রুত চাই প্রজ্ঞাপন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষনা দেন। পরে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সাথে কয়েকবার আলোচনা হয় এবং সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে ৭ মে’র মধ্যে পজ্ঞাপন জারি করা হবে। কিন্তু সেটি না হওয়ার পেক্ষিতে তারা আবার আন্দোলনের ডাক দেয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ