নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বের নামি কোম্পানী কোকাকলা ইউকে লটারিতে পাউন্ড পাওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। যাদের কাজ হচ্ছে জিপিসহ অন্যান্য সচল সিম নম্বরগুলোকে টার্গেট করে লটারিতে পাউন্ড পাওয়ার লোভনিয় ম্যাসেজ পাঠানো। জিপি নম্বর ব্যবহার করে পাঠানো ম্যাসেজগুলোর বেশির ভাগই ৫০ হাজার পাউন্ড পাওয়ার লোভনীয় ম্যাসেজ দেওয়া হয়। ম্যাসেজে নাম, ঠিকানা ও বয়সহ ই-মেইল করতে বলা হয়। যারা তাদের কথা বিশ্বাস করে নিজের তথ্য ফিরতি ম্যাসেজে দিয়ে দেয় তাদের প্রতারণা ও হয়রাণির শিকার হয়। নিজের ব্যক্তিগত তথ্যও চলে যায় প্রতারকদের হাতে। সেই তথ্য
নিয়ে তারা প্রতারণার ফাঁদ পেতে গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আবার অনেক সময় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট চাওয়া হয়। সেই এ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দিলে তারা টাকা মুহূর্তের মধ্যেই গায়েব করতে সক্ষম। এতকিছুর পরও যেসব মোবাইল অপারেটর ব্যবহার করে ও যে কোম্পানীর সামে প্রতারণা করা হয় তারা এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনি একটা ঘটনা ঘটেছে রোববার ভোর রাতে। রাত ভোর ৩টা ২৯ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের কাছে একটি জিপি নম্বর থেকে এসএমএস
আসে। এসএমএস দেখে প্রথমে তিনি নিজের চোখখেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ এসএমএসে বলা হয়েছে, অভিনন্দন, আপনার মোবাইল নম্বর কোকাকলা ইউকে লটারির মাধ্যমে প্রাইজ হিসেবে ৫০ হাজার পাউন্ড পেয়েছে। প্রাইজটি সংগ্রহ করতে নাম, মোবাইল, ও বয়স ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ ফোনের নতুন
সিরিজের নম্বর-০১৩১৯-৬৩-০৭৪। এ ছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে তিনি এমন এসএমস পেয়েছিলেন। এভাবে শুধু মারুফ সরকার নয় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে লটারি জিতে পাউন্ড পাওয়ার এসএমএস দেওয়া হয়েছে। আরেক ব্যক্তির কাছে এমন এসএমএস আসলে তিনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান। তিনি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমি তাদের শর্তে রাজি হওয়ার সময় পরিবারের লোকজনের বাধা ও সচেতনতার কারণে প্রতারকদের ফাঁদে
পা দেয়নি। জিপি ও বাংলালিংকের নতুন সিরিজের নম্বর ব্যবহার করে এমন এসএমএস পাঠানো হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। তারপরও এই দুই অপারেটর প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নামি কোম্পানী কোকাকলার পক্ষ থেকেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রাজশাহী মহানগরীর সচেতন মহলের দাবি, যে প্রতারক চক্র জিপি ও বাংলালিংক নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এরা সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নেবে। এ বিষয়ে জিপি কর্তৃপক্ষ বা কোকাকলার কারো সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এস/আর