বিশেষ প্রতিবেদক :
কে হচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) নতুন অধ্যক্ষ? এনিয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। গত ১৯ জুন থেকে শূন্য রামেক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে প্রায় এক ডজন শিক্ষক সরকারের উচ্চপর্যায়ে নানাভাবে লবিং-তদবির করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে দেশের অন্যতম এ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজেও জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ পদাধিকার বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন এবং নবপ্রতিষ্ঠিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য হবেন। একসঙ্গে দু’টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হওয়ার সুযোগ থাকায় রামেক অধ্যক্ষের পদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্ভবত: এ কারণেই রামেকের প্রায় একডজন শিক্ষক পদটিতে নিয়োগ পেতে লবিং-তদবির করছেন।
সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে নিয়ম ভেঙে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়া স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) নেতা, সিনিয়র কনসালটেন্ট (চলতি দায়িত্বের সহযোগী অধ্যাপক) ডা. মহিবুল হাসান, রামেকের সাবেক উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলী, বর্তমান উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বুলবুল হাসান ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হক রামেক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে লবিং-তদবির করছেন। এছাড়াও সদ্য পদোন্নতি পাওয়া রামেক মেডিসিন বিভাগের তিন অধ্যাপক যথাক্রমে ডা. হাসান তারিক, ডা. মাহবুবুর রহমান বাদশা ও ডা. খলিলুর রহমান লবিং-তদবির করছেন বলে জানা গেছে।
রামেক সূত্রে জানা যায়, ১৮টি বিষয়ে স্নাতোকোত্তর কোর্সের রিচার্স মেথোডলজি পাঠদানের একমাত্র অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হক। তিনিই স্নাতোকোত্তর কোর্সের রিচার্স প্রপোজাল তৈরীতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। বিগত ৭/৮ বছর থেকে তিনিই শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত অধিকাংশ বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া এফসিপিএস ফেলোদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনা ও বিভিন্ন সময়ে ছুটিতে থাকা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বুলবুল হাসান বলেন, রামেক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য সিনিয়রিটি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিচারে সবচেয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি হচ্ছেন কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হক। দ্বিতীয় যোগ্যতম ব্যক্তি হচ্ছেন তিনি নিজে (ডা. বুলবুল হাসান)। এরপর পর্যায়ক্রমে যোগ্যতম হচ্ছেন ডা. হাসান তারিক, ডা. মাহবুবুর রহমান বাদশা ও ডা. খলিলুর রহমান। কিন্তু অধ্যাপক না হয়েও অনেকে অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য চেষ্টা-তদবির করছেন, যা সত্যিই দুঃখজনক।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে