খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খোকন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি ওই ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘরিয়া সাকিন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী সড়কের পাশে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত খোকন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী সড়কের পাশে ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর আসে। তাদের মধ্যে কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম সাধন হত্যা মামলার পলাতক আসামিও আছে বলে জানা যায়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি এবং চান্দিনা থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথ অভিযানে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। ডিবি ও চান্দিনা থানা পুলিশের যৌথটিম আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে প্রায় ২৫ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন এবং ডাকাত দলের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে অন্যান্য অস্ত্রধারী ডাকাত দল গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়।
আহত পুলিশ সদস্যদের এবং আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত ডাকাত সদস্যকে মৃত ঘোষণা করে। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবির পুলিশ দর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, পাচঁ রাউন্ড ফায়ারকৃত গুলির খোসা, দুইটি রামদা, একটি ছুরি, একটা চাপাতি ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করেছে। পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন।
খবর২৪ঘন্টা/নই