নিজস্ব প্রতিবেদক :
কাউকে আটক করতে চাইলে বলেন, আমি নিজে প্রশাসনের হাতে তুলে দিব। বিএনপির কেউ পলাতক নয়। যার কারণে নির্বাচন ব্যাহত হতে পারে বলে মনে হয় তাকেই প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবুও বাড়িতে গিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-২ সদর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মিনু। মিনু আরো বলেন, এ নির্বাচন অন্য নির্বাচনের থেকে আলাদা। গত রাত দেড়টা থেকে সাবেক রাসিকের মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বাড়িতে সিভিল ড্রেসে অবস্থান নিয়েছিল। তারা তাকে বের হতে দিচ্ছিলোনা। আমি গিয়ে তাকে নিয়ে আসলাম। সবার কাছে অস্ত্র ছিল। তাদের পরিচয় চাইলাম এবং বললাম গ্রেফতার করতে আসলে বলো আমি বুলবুলকে তুলে দিব। কিন্ত তারা না বলে সরে গেলো। এভাবে হয়রানি না করে কাউকে আটক করতে চাইলে বলেন আমি তুলে দিব। বিএনপির কেউ পলাতক নয়। এ ছাড়া তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এ্যাড. ওয়ালীউল রানার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ভীতিকর পরিস্থিতি করেছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন। আমরা এই শহরে শান্তি বজায় রাখতে চায়। এর আগে রাজশাহী-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান বলেন, তাদের নির্বাচনী এলাকা তানোর-গোদাগাড়ীতে নৌকার সমর্থকরা ধানের শীষের সব পোস্টার
ছিঁড়ে ফেলেছে। এ সময় ডিসি বলেন, বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য জুডিশিয়াল ইনকয়োরিতে দেওয়া হয়েছে। এ সময় রাজশাহী-১ আসনের আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ট বলেন, ধানের শীষের সমর্থকরা তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিলন বলেন, তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এগুলোর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। ডিসি বলেন, সেগুলোও তদন্ত করা হচ্ছে। রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু হেনাও একই অভিযোগ করেন। তবে বিএনপির তিন প্রার্থী উপস্থিত ও আ’লীগের একজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া ও শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার আহবান জানান।
খবর ২৪ ঘন্টা/আর