খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভালো হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিউজিল্যান্ড, স্পেনসহ অনেক দেশে দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যেকোনো সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংক্রমণ রোধ-প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অধিক মনোযোগ দেয়াই হচ্ছে সর্বোত্তম কৌশল। সরকার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। গাড়ির আসনসংখ্যা অর্ধেক খালি রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ভাড়া সমম্বয় করে এ সময়ের জন্য। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছে না। আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিবে?
‘এ প্রেক্ষাপটে বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কিছু সুপারিশ তৈরি করে। এসকল সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হচ্ছে। কিভাবে বা কোন কোন শর্তে পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে এসকল বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আমরা তা সকলকে অবহিত করব।–যোগ করেন কাদের।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।