1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
করোনা নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানে এল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ০৪:০ অপরাহ্ন

করোনা নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানে এল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য!

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে এখন পর্যন্ত (শনিবার সকাল সোয়া ৯টা) ৫৩ লাখ ৪ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪ জন। বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

এদিকে, ভাইরাসটি হানা দেওয়ার প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এর কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে দিন-রাত গবেষণা চলিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কার্যকর কোনও ফল পাওয়া যায়নি।

এর মধ্যেই করোনাভাইরাস ও এর চিকিৎসা নিয়ে প্রকাশ্যে এল একটি ভয়ঙ্কর তথ্য।। আর সেটি হচ্ছে কোনওদিনও আসবে না করোনার ভ্যাকসিন, পৃথিবী থেকেও বিলীন হবে না এই ভাইরাস।

শুক্রবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বিজ্ঞান সম্পাদক ইয়ান স্যাম্পল এক নিবন্ধে ভ্যাকসিন না আসার বিস্তারিত পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি নিবন্ধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’কেই শেষ পর্যন্ত করোনা মোকাবেলার বাস্তব উপায় বলে ভাবছেন।

ইয়ান স্যাম্পল লেখেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভ্যাকসিন তৈরির সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তারা ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিতে চায় এর পরীক্ষার জন্য। ইংল্যান্ডের সরকারও সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি রেখেছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে।

তবে এ সপ্তাহের শুরুতে ইংল্যান্ডের উপপ্রধান মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যান-টাম বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত নই যে একটা ভ্যাকসিন আমরা তৈরি করতে পারব’।

ইয়ান স্যাম্পল লেখেন, ভ্যাকসিন তাত্ত্বিকভাবে সহজ, কিন্তু বাস্তবতায় জটিল। উদাহরণ হিসাবে তিনি ৩০ বছর আগের এইচআইভির ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার না হওয়া, ১৯৪৩ সালের ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন মাত্র গত বছর অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। মামপস রোগের ভ্যাকসিন সবচেয়ে দ্রুত আবিষ্কার হয়, তাও চার বছরে।

এছাড়া সার্স ও মার্স করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি লেখেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ একই রোগে বারবার ভোগে। যেমন ঠান্ডাজনিত রোগ। এসবের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে প্রতিরোধ তৈরি হলেও কিছুদিন পর তা কমে আসে। ফলে এই রোগে তারা আবার আক্রান্ত হয়।

করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও যা হওয়ার সুযোগ আছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯ বিজয়ীদের শরীরে অ্যান্টিবডি প্রথম মাসের পর থেকেই কমতে থাকে।

এছাড়া যারা কম উপসর্গ নিয়ে বাসায় থেকেই সুস্থ হয়েছেন তাদের রক্তেও কোভিড-১৯ কে নিশ্চিহ্ন করার মতো অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না বলে নিউইয়র্কের রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে। আইওয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক স্ট্যানলি পারলম্যান বলেন, যদি শরীরেই পর্যাপ্ত প্রতিরোধ তৈরি না হয় ক্ষতের বিরুদ্ধে, তাহলে ভ্যাকসিন কী করতে পারে। বড় জোর এক বছর ঠেকিয়ে রাখতে পারে।

ভ্যাকসিন কার্যকর না হওয়ার কারণ হল, ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাসের ঘন ঘন জিন পরিবর্তন। কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের ‘স্পাইক’, যার মাধ্যমে সে মানবদেহে প্রবেশ করে তা বারবার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ফলে কোনও একটি ভ্যাকসিন কখনও কাজে লাগলেও তার কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে।

এসব ভ্যাকসিনের কারণে মানব শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হয় তা নিয়েও রয়েছে আতঙ্ক। সার্স ও মার্স ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর প্রাণীরা মারাত্মক শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতায় পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের মডারনা যে ২৫ জনের ওপর তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে তাদের মধ্যে এ রোগ থেকে স্বাভাবিকভাবে সেরে ওঠা মানুষদের মতোই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরির পরও বানরেরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যদি মানুষের শরীরে এটা (ভ্যাকসিন) কার্যকর হয়ও তাহলে তারা হয়ত মরবে না, কিন্তু রোগ ছড়ানোও বন্ধ হবে না।

ইয়ান স্যাম্পল যে কারণে বিভিন্ন গবেষকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, এক বছরের জন্য হয়ত ভ্যাকসিন শরীরে কাজ করবে তারপর আবার করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি তৈরি হবে।

তিনি হংকংয়ের এক গবেষকের উদ্ধৃতি উল্লেখ করেন। ওই গবেষক বলেন, করোনাকে নিয়েই থাকতে হবে মানুষের। সে জন্য মাস্ক পরতে হবে অফিস, যাতায়াত বা গণজমায়েতের মতো জায়গাগুলোতে। আর বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্বকে আরও সহজ করতে হবে। রেস্টুরেন্টগুলোকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

ইয়ান স্যাম্পল বলেন, তরুণরা ভ্যাকসিন নিয়ে বাইরে কাজ করতে পারলেও বয়স্কদের জন্য ঝুঁকি থেকেই যাবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST