1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
কন্ঠরাজ এন্ড্রু কিশোরের জীবনী - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

কন্ঠরাজ এন্ড্রু কিশোরের জীবনী

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ জুলা, ২০২০

প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী এন্ডরু কিশোর ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর রাজশাহী শহরের শ্রীরামপুর মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। যেজন্য তিনি প্লে-ব্যাক সম্রাট হিসেবে পরিচিত।

বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ ও মা মিনু বাড়ৈ খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। মা ছিলেন রাজশাহীর বুলনপুর মিশন গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা। তবে তিনি মিশন হাসপাতালের নার্স ছিলেন বলেও কেউ কেউ বলেন। এই স্কুলেই পড়াশোনা শুরু কিশোরের । তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চুর কাছে সঙ্গীতের প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন। রাজশাহী বেতারের তালিকাভূক্ত শিল্পী হিসেবে রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। দরাজ কণ্ঠের এই শিল্পীর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যেখানে হৃদয় যেখানে প্রভৃতি। কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক যাত্রা শুরু ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ গানের মধ্য দিয়ে। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদান রাখার জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ঢাকায় একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। রাজশাহীর বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: শিখা বিশ্বাস তাঁর বোন এবং ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা: প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস তাঁর দুলাভাই।
ধর্মান্তরিত পিতা-মাতার সন্তান এন্ডরু কিশোর জন্মসূত্রে খ্রিষ্টান। তবে তিনি একসময় বাহাই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়েন। তবে তা স্থায়ী হয়নি।

তিনি দীর্ঘদিন রক্তের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁকে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর থেকে তিনি রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান মহল্লায় বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দুলাভাই ডা: প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের ক্লিনিকে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই সন্ধ্যে ৬টা ৫৫ মিনিটে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। এসময় তাঁর বয়স হয় ৬৫ বছর। তাঁর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে বিদেশে অবস্থানরত সন্তানদের দেশে ফেরার অপেক্ষায়। তাদের ফেরার পরেই তাঁকে মায়ের পাশে কবরস্থ করা হবে বলে জানা গেছে। সংগৃহীত

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST