উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কন্ঠরাজ এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০২০ সালের ৬ জুলাই নিজের শহর রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ৬ জুলাই মৃত্যু হলেও ১৫ জুলাই তাকে সমাহিত করা হয়।
রাজশাহীর স্থানীয় চার্চে ১৫ জুলাই সকাল ৯টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নিয়ে আসা হয় এন্ড্রু কিশোরকে। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মরদেহ চার্চে রাখা হয়। এরপর প্রিয় গায়কের পরিবার-পরিজন-ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্রার্থনা করেন ফাদার।
প্রার্থনা শেষে চার্চের বাইরে সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা জানান। চার্চের আয়োজন শেষ হলে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নিয়ে আসা হয় রাজশাহীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিষ্টানদের কবরস্থানে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কন্ঠশিল্পী দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে আসছিলেন। টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে গত ১১ জুন তিনি একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর থেকে রাজশাহীতে বোন শিখা বিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করছিলেন তিনি। শারীরিক অস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি বোনের পরিচালিত ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন।
ঢাকা থেকে এন্ড্রু কিশোরকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিলেন সুরকার ইথুন বাবু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্রমুখ। গত ৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা প্লেব্যাক গানের মহারাজ এন্ড্রু কিশোর। ছেলে সপ্তক ও মেয়ে সঙ্গা অস্ট্রেলিয়াতে থাকায় নয় দিন পর তাকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, প্লেব্যাক সম্রাট এন্ডুকিশোর প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। কন্ঠের জাদুর কারণে তিনি দেশের আনাচে-কানাচে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।
এস/আর