1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
এয়ার স্ট্রাইক: ‘‘বিকট শব্দ শুনেছিলাম, পাক সেনা আমাদের উদ্ধার করে’’ - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

এয়ার স্ট্রাইক: ‘‘বিকট শব্দ শুনেছিলাম, পাক সেনা আমাদের উদ্ধার করে’’

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ মারচ, ২০১৯
প্রতীকী ছবি

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাকভোরে যখন ভারত এয়ারস্ট্রাইকচালিয়েছিল, সে সময় একটা ঘরে ওই পড়ুয়া ও তার সহপাঠীরা ঘুমোচ্ছিল। বিস্ফোরণেরবিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় সকলের।

বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের পরই জইশ-এ-মহম্মদের মাদ্রাসার পড়ুয়াদের নিরাপদে সরিয়েছিল পাক সেনা। এমনকি, এয়ার স্ট্রাইকের পর পড়ুয়াদের বাড়িতে পাঠানোর আগে তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দিয়েছিল পাক বাহিনী। এমন তথ্যই এবার সামনে এল। মাদ্রাসার এক পড়ুয়ার আত্মীয়ই এমন দাবি করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে। ওই পড়ুয়ার আত্মীয়ের আরও দাবি, এয়ার স্ট্রাইকের আগে প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে জইশদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল পাক সেনা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাকভোরে যখন ভারত এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সে সময় একটা ঘরে ওই পড়ুয়া ও তার সহপাঠীরা ঘুমোচ্ছিল। বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় সকলের। বাড়িতে ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, ‘‘শব্দটা খুব একটা দূর থেকে আসছিল না। খুব কাছেই শুনতে পেয়েছিলাম।’’ একথাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন ওই পড়ুয়ার আত্মীয়।

এয়ার স্ট্রাইকের বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কে ধড়ফড় করে উঠে পড়েছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু পরক্ষণে আর কিছু টের না পাওয়ায়, ফের ঘুমিয়ে পড়েছিল তারা। ওই পড়ুয়ার আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘‘ওরা ভেবেছিল, হয়তো এটা ওদের মনের ভুল। কিংবা হয়তো ভূমিকম্প হয়েছে। তাই আর কিছু শব্দ না শোনায় ফের ঘুমিয়ে পড়েছিল ওরা।’’ এরপর ওদের যখন ঘুম ভাঙল, তখন পাক সেনা ওদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ওই আত্মীয় বলেন, জানি না কোথায় ওদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২-৩ দিন একটি জায়গায় ওদের রাখা হয়েছিল।এরপর ওদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হয়।

ওই পড়ুয়ার আত্মীয় বলেন, ‘‘মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ও জেদ করছে। সকলে ওকে বোঝাচ্ছে বিয়ে করতে। ফিরে আসতে বলছে। কিন্তু ও বলছে, মাদ্রাসায় যাবে।’’

ওই পড়ুয়ার আত্মীয় আরও জানিয়েছেন, ‘‘মাদ্রাসায় আরও অনেকে ছিল। কিন্তু সকলকে নিরাপদে সরানো হয়নি। ওর সঙ্গে ওর সমবয়সী কয়েকজনকে সরানো হয়েছিল অন্যত্র। বাকিদের কী হল, ও জানে না। কোথায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটাও ও জানে না।’’

ওই পড়ুয়া তার বাড়িতে জানিয়েছে, এয়ার স্ট্রাইকের কিছুদিন আগে মাদ্রাসায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই আত্মীয় জানান, ‘‘ও বলেছে, মাদ্রাসার ছবি প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে মাদ্রাসায় সেনা এসেছিল।’’

উল্লেখ্য, গত শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় যে, জইশের একটি মাদ্রাসার ৪টি ভবন এয়ার স্ট্রাইকে ধ্বংস হয়েছে। যে ছবি ধরা পড়েছে র‌্যাডারে। তবে কত জঙ্গি মারা গিয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও দিশা দেখাতে পারেনি র‌্যাডার। আকাশে ঘন মেঘ থাকায় স্যাটেলাইট ছবি পরিষ্কার আসেনি।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST