বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক খাত থেকে শুরু করে শিক্ষা খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই তো সংক্রমণ কমাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় নির্ধারিত সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়েছে। আগামী বছরেও (২০২২ সাল) এসব পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০২২ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে পারে। একইসঙ্গে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা প্রতি বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয়। তবে আগামী বছর পিছিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষার সময়সূচিতে হোঁচট খেয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৯ মাস এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ মাস পিছিয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলছেন, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় হোঁচট খেয়েছে। আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের পরীক্ষা ৯ মাস পিছিয়েছে। আগামী বছর দুই মাস পেছাতে পারে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সাল থেকে নির্ধারিত সময়ে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ৷ এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর করোনা সংক্রমণ কমাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমায় দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে তা খুলে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অল্পসময় ক্লাস করিয়ে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে করোনার ক্ষতির ঢেউ পরবর্তী বছরেও গড়াচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কমানো হয়েছে।
জেএন