1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
এনআরসি-বাতিলদের বাংলাদেশে ফেরত নয়, এই গ্যারান্টি দিচ্ছে না ভারত - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

এনআরসি-বাতিলদের বাংলাদেশে ফেরত নয়, এই গ্যারান্টি দিচ্ছে না ভারত

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপটেম্বর, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা  ডেস্ক: আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে কিনা, এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গেলো ভারত। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ বিষয়ে এক নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে রাজি নই!’

বস্তুত ক্ষমতাসীন দল বিজেপির শীর্ষনেতাদের অনেকেই যদিও বলেছেন, এনআরসি থেকে যাদের নাম বাদ পড়বে তাদের বাংলাদেশেই ডিপোর্ট করা হবে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু এতদিন সেই ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে। কিন্তু এবার তাদের কথা থেকে অনেকটাই পরিষ্কার, ভারত এই লাখ লাখ কথিত ‘অবৈধ বিদেশি’কে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করবে না– এই নিশ্চয়তা তারা আর দিতে পারছে না।

ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনআরসি ইস্যুতে ভীষণ আগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন, একথা অজানা নয়। তিনি এক্ষেত্রে কোনও কূটনৈতিক সৌজন্যের ধার না-ধারলেও ক্যাবিনেটে তার সতীর্থ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কিন্তু এই প্রশ্নে একটা ভারসাম্য বজায় রেখেই চলার চেষ্টা করছেন। এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার তেমন কিছু নেই, বরং এই বার্তাই তিনি ক্রমাগত ঢাকাকে দিতে চেয়েছেন।

কিন্তু এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাদের ওপরও সম্ভবত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাপ বাড়ছে। যে কারণে এই লাখ লাখ মানুষকে কখনোই বাংলাদেশে পাঠানো হবে না– এই কথাটা তারা কিছুতেই স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লির জওহর ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তথা মুখপাত্র রবীশ কুমারের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়েই এই জিনিসটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে এ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বটা ছিল এ রকম:

প্রশ্ন: আপনি যেমনটা যথার্থই বলেছেন, কোনও বিদেশি নাগরিকই এদেশে অবৈধভাবে থাকতে পারবে না… সে ক্ষেত্রে এনআরসির ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাহলে কী হবে? আমরা কি তাহলে এই অবৈধ বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবো? বিষয়টা কি আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে তুলেছি?

রবীশ কুমার: না। দেখুন, এর আগেই আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে (এস জয়শঙ্কর) উদ্ধৃত করে জানিয়েছি এটা পুরোপুরি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে কথাটা তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েও বলেছেন।

আর এটাও বুঝতে হবে যে আমরা এখানে এমন একটা প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছি যা বেশ দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ। এরপর ট্রাইব্যুনাল আছে, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আইনি প্রক্রিয়া আছে। ফলে এই প্রক্রিয়ার অনেকটাই এখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। আর ভবিষ্যতে কী ঘটবে না-ঘটবে কিংবা কীভাবে এর নিষ্পত্তি হবে সেটা নিয়ে আমাদের বেশি কথা না-বলাই ভালো।
আমরা যেটুকু বুঝি তাতে বলতে পারি যে, এটা একটা ন্যায়সম্পন্ন ও স্বচ্ছ (ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট) প্রক্রিয়া। আর ভবিষ্যতে কী হবে সেটা তো আগামী দিনেই নির্ধারিত হবে– ফলে আমার কাছে এখন এ প্রশ্নের কোনও জবাব নেই।
কথাগুলো বলার সময় বেশ আমতা আমতা করতেও শোনা গেছে রবীশ কুমারকে। দৃশ্যতই তিনি নিজের অস্বস্তি গোপন করতে পারেননি।

সরকারি মুখপাত্রের এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার, এনআরসি-বাতিলদের আগামী দিনে কখনোই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা হবে না– এই কথাটা তিনি কিছুতেই কবুল করতে চাইছেন না। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বা শীর্ষনেতা রাম মাধবের কট্টর নীতি যে এখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও ধীরে ধীরে হজম করে নিতে হচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে সেটাও!

খবর২৪ঘণ্টা, এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST