নিজস্ব প্রতিবেদক, খবর ২৪ ঘণ্টা:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ফুটপাতের দোকানে কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। নগরীর নামি-দামী মার্কেটগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানেও ক্রেতারা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য ভিড় করছেন। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ফুটপাতের বাজার জমে উঠছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকছে ফুটপাতের এসব দোকানগুলো। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নতুন পোশাক ও জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ রোজার পর থেকেই নগরীর মার্কেটগুলোতে জামা-কাপড়সহ প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে ক্রেতারা ভিড় জমালেও ২০ রোজার পর থেকে মার্কেটগুলোতে কয়েকগুণ ভিড় বেড়ে গেছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের জিনিস দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। দম ফেলার সময় নেই তাদের কাছে।
সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে ফুটপাতের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল থেকে রাত গভীর রাত পর্যন্ত বেচা বিক্রি হচ্ছে।
ফুটপাতের দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহানগীর সাহেব বাজার ও গণকপাড়া এলাকার ফুটপাতের দোকান। এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে কম আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও বিত্তবান মানুষরাও কেনাকাটা করে থাকেন। তাই অন্যবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা আরো বেশি বেড়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সরজিমিনে সাহেব বাজার এলাকার ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক দোকানেই ক্রেতাদের অসহনীয় ভিড়। কোন দোকানই খালি নেই। ক্রেতারা এসব দোকান থেকে জামা, প্যান্ট, শাড়ি, থ্রিপিচ ও জুতা এবং স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন জিনিস কিনছেন। দরদাম করে প্রতিটি জিনিস বিক্রি হলেও ঈদের সময় হওয়ার কারণে খুব বেশি দরদাম করার সুযোগ দিচ্ছেন না দোকানিরা। কারণ প্রত্যেকটা ক্রেতার কাছে তাদের পন্য বিক্রি করার চেষ্টা করছেন।
সাহেব বাজার ফুটপাতে মেয়েকে নিয়ে বাজার করতে আসা হালিমা বেগম বলেন, ফুটপাত মানেই মানুষ ধারণা করে গরীব মানুষরা ফুটপাতে কেনাকাটা করে। এই ধারণা ভুল। ফুটপাতে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়। তাই ফুটপাতে কেনাকাটা করছি।
কল্পনা নামের আরেক নারী ক্রেতা বলেন, ফুটপাতে দাম দর করে ভাল জিনিস কম দামে পাওয়া যায় তাই ফুটপাতে কেনাকাটা করতে আসা অন্য কিছু নয়।
তবে ফুটপাতে কম আয়ের মানুষেরা কেনাকাটা করেন না তা নয়। অন্য শ্রেণীর মানুষের তুলনায় কম আয়ের মানুষেরাই এসব দোকানে বেশি সময় কেনাকাটা করে থাকেন। কেনাকাট করতে আসা এ রকমই একজন মানুষ সাহেব আলী। সাহেব আলী বলেন, ঈদে পরিবারের সদস্যদের নতুন পোশাক দিতে পারলে ভাল লাগে। তাই কেনাকাটা করতে আসা। ফুটপাতে কিনলে কম দামে ভাল জিনিস পাওয়া যায়।
সাহেব বাজারের ফুটপাতের পাশাপাশি নগরীর রেলগেট, বাস টার্মিনাল, ভদ্রা, তালাইমারী ও লক্ষীপুর এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে।
বাহারুল নামের এক ফুটপাতের ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এবার অন্যবারের তুলনায় বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে। চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হবে। ভাল বিক্রি হওয়াল লাভও ভাল হবে বলে আশা করছি।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে