1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি বিশ্ব: আইএমএফ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি বিশ্ব: আইএমএফ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০
ফাইল ছবি :

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস এই বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘তীব্র নেতিবাচক’ অবস্থায় ফেলে দেবে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা। মহামারির দীর্ঘস্থায়ীত্ব বিগত সময়ের মহামন্দার পর সবচেয়ে বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে অর্থনীতি বিশারদরা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্ব।

আগামী সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের এক ভার্চুয়াল বসন্তকালীন সভা হবে। ওই সভা উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে দেয়া এক বার্তায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল ২০২১ সালে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তবে সেটির আর সম্ভাবনা নেই। বিভিন্ন দেশের লকডাউন ব্যবস্থা দেশে দেশে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে।

জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা বলছে, ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন শ্রমিকের কাজ পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

বিবিসিকে আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জর্জিভা বলেন, এতে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর তা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হবে শত শত বিলিয়ন ডলার সহায়তা।

তিনি বলেন, মাত্র তিন মাসে আগে ২০২০ সালে আমরা ১৬০ সদস্য দেশের সন্তোষজনক মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি আশা করেছিলাম। কিন্তু করোনা সেটা ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন ভাবছি, এ বছর ১৭০টির বেশি দেশ মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

প্রকৃতপক্ষে  ১৯৩০ এর  মহামন্দার পর এই প্রথম সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দেখছি। পরিস্থিতি যতটা খারাপ মনে হয়েছিল তার চেয়ে বেশি খারাপ হতে পারে। কারণ মহামারি কতদিন থাকবে তা অনিশ্চিত।

মূলত জর্জিভার এই আশঙ্কাকে আরো দীর্ঘায়িত করছে আমেরিকার বেকারত্ব হার বৃদ্ধি। জানা গেছে, দেশটিতে ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন লোকের বেকারত্বের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল রির্জাভ বলেছে, করোনা মোকাবিলায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার ওপর ৯৫ শতাংশ লোক লকডাউনের আওতায় চলে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম সতর্ক করে বলেছে, কোভিড ১৯ এর বিস্তারের কারণে অর্ধ বিলিয়ন লোক দারিদ্রের দিকে ঝুঁকতে পারে এবং মহামারি শেষে বিশ্বের ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন লোক দারিদ্রের দিকে ঝুঁকতে পারে।

সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের শ্রমসংস্থা সতর্ক করেছে যে, এই মহামারির কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে গুরুতর সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে।

গত মাসে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) সতর্ক করেছে, বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।

সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাঞ্জেল গুরি বলেছেন, ২০০১ সালের ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলা এবং ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পরে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় রকমের ধাক্কা এটি।

খবর ২৪ঘন্টা /বিআ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team