1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
আ.লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ, মেয়রের বাড়িতে গুলি-ভাঙচুর - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

আ.লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ, মেয়রের বাড়িতে গুলি-ভাঙচুর

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ সেপটেম্বর, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা  ডেস্ক: ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরশহরে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল হকের বাঁশপাড়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাপক গুলিবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সদ্য শপথ নেয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন । গুলিবর্ষণ ও বাড়িতে হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে নুহা নামের একটি শিশু ( ১৩ মাস বয়স) । তার হাতে গুলির স্প্রিন্টার লাগে বলে অভিযোগ করা হয়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ।

এদিকে, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে থানায় মামলা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি । পক্ষগুলো থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে । ছাগলনাইয়া পৌরশহরের জমাদ্দার বাজার, কলেজ রোডের মুখসহ শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জানান, সরকারি সফরে দক্ষিণ কুরিয়ায় থাকা পৌর মেয়র এম মোস্তফার বাড়ি, তার ও তার ভাইয়ের ঘরে গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তার বাড়িতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ব্যাপক গুলিবর্ষণ করলে অল্পের জন্য তার তের মাসের ভাতিজি নুহা রক্ষা পেয়েছে । ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসী ও বাড়ির লোকজন আতঙ্কে রয়েছে । তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন তিনি ।

ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার তার বাঁশপাড়ার বাড়িতে রাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে জানান, যেহেতু নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যের ঘটনা, বসে এটি সমাধান করা যেত । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন,বাড়িঘরে হামলা,গুলির ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তবে যা হয়েছে দলের নেতৃবৃন্দ দলের স্বার্থে বসে এ ঘটনার সমাধান করে দিবেন বলে আশাবাদী তিনি। ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন,তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তাদের নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে আনতে । তিনি হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেছেন ।

এদিকে,হামলায় আহত আজিজুল হক মানিক চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার এক সপ্তাহ পার না হতেই তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে । বাড়ি বাজারের পাশে বলে গ্রাম থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে দলীয় নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করা আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে এনামসহ একটি কুচক্রি মহল । পুলিশ প্রশাসন ও দলের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নজিরবিহীন বলে জানান তিনি । তিনি দেশের আইনানুযায়ী এবং সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জন্য প্রশাসন ও দলের উর্ধ্বতন কৃর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিকসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোপালসহ উপজেলার সবর্ত্র নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন আহম্মদ বুলু মজুমদার জানিয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পৌর শহরের জমাদ্দার বাজার,কলেজ রোডসহ সর্বত্র লোকজনের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকশ নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছিল। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাস্তায় লোকজনের তেমন উপস্থিতি নেই । সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও দোকান-পাঠ খুলেছে । সংঘর্ষ এড়াতে শহরের জমাদ্দার বাজার,উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস এলাকাসহ পৌর শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদ্য ঘোষিত ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক পৌর শহরের জমাদ্দার বাজারে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ফুল দিতে আসেন । ওই সময় আওয়ামী লীগ অফিসের বাহিরে ঘোপাল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম মেম্বারের সঙ্গে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হকের সমর্থক যুবলীগ নেতা বাঁশপাড়া গ্রামের নবীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয় ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ওই সময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে । এর কিছুক্ষণ পরে ভাইস চেয়ারম্যান এনামের ভাতিজা রাকিব আওয়ামী লীগ অফিসে এসে বাকবিতন্ডতায় জড়ালে সেখানে নতুন করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় । এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে অবস্থান নেতা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এনামের লোকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে দু-পক্ষের মধ্যে মীমাংসার জন্য দলীয় কার্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন আহম্মদ বুলু মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।

বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ছাগলনাইয়া থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, পাঠাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক

মজুমদার,ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী জেলা পরিষদের সদস্য কাজী ওমর ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক দিদারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ কয়েক শ’ নেতাকর্মী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।

বৈঠকে দু-পক্ষের মীমাংসার পর ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো শেষে কয়েকগজ দূরে জমাদ্দার বাজারের জিরো পয়েন্ট দিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘোপালের দিকে রওয়ানা হওয়ার পথে দুপুর ৩টায় ছাগলনাইয়া ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক মজুমদারের উপস্থিতিতে তার লোকেরা ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঘোপাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিকসহ তার লোকজনের ওপর হামলা করে।

এ সময় আজিজুল হক মানিক চেয়ারম্যান(৫১), ঘোপাল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক (৫৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোশারপ হোসেন(৪৫) বাঁশপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য একরাম হোসেন(৩৪) ও ছাত্রলীগের কর্মী রুবেলসহ(২৮) কমপক্ষে সাতজন আহত হয়। নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান ।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST