রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসির যোগসাজশে খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর ভাড়া নেওয়া দোকান ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
খড়খড়ি কালুমেড় মোড় এলাকার জনৈক হারুনুর রসিদের পক্ষে জাহাঙ্গীর হার্ডওয়ার নামের ওই দোকান ঘর দখলে নিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে নগরের চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলীর সহায়তায় রবিউল ইসলামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীর হার্ডওয়ারের দোকান ঘরটি প্রতিপক্ষ হারুন দলবল নিয়ে বালু দিয়ে বন্ধ করে দখলে নেয়। মাস খানেক ধরে দোকান ঘরটি বালুর স্তুপ ফেলে বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ি রবিউল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে লক্ষাধিক টাকার। মার্কেট মালিক হারুনের দলবল লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিনিয়ত মহড়া চালাচ্ছে। এ কারনে ভুক্তভোগী রবিউল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে ভয় পাচ্ছে।
এঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি ইমরান আলী উল্টো মামলার ভয় ভীতি দেখান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামকে।
জনাগেছে, নগরের ললিতাহার খড়খড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম ২০১১ সালে দশ বছরের জন্য মাসিক ১৮০০ টাকার চুক্তিতে ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে ডিডের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ৩৫০০ টাকা মাসিক ভাড়ার সিদ্ধান্ত হয় মালিক পক্ষের সাথে । ভাড়া গ্রহন না করে মার্কেট মালিক হারুনুর রসিদ দোকান ঘরটি ছেড়ে দিতে ব্যবসায়ি রবিউল ইসলামকে চাপ সৃষ্টি করে। এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। ব্যবসায়ি রবিউল ইসলাম নিরুপায় হয়ে এনসি চালান মারফত আদালতে নির্ধারিত ভাড়ার টাকা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ দোকান মালিক হারুন ট্রাক ভর্তি বালু দিয়ে দোকান ঘর বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১১ সাল থেকে হারুন মার্কেটে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। হঠাৎ করে চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলী আমাকে ডেকে ভাড়ার দোকান ঘরটি ছেড়ে দিতে বলে। আদালতে মামলার বিষয়টি ওসিকে অবগত করি। কিন্তু ওসি আমাকে ঘর ছাড়ার জন্য উল্টো চাপ সৃষ্টি করেন। এবং মার্কেট মালিক হারুনের সাথে ওসির যোগসাজশে আমার কাছ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দোকান ঘরটি ছেড়ে দিতে হবে মর্মে লিখিত নেয়। পরবর্তীতে ওসি বলেন দোকানঘর তোমার থাকবে বলে আমার কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা গ্রহন করেন।
তারপরেও চন্দ্রিমা থানার ওসি দোকান ঘরটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওসির সহায়তায় আমার দোকান ঘরের সামনে বালুর স্তুপ ফেলে ঘরটি দখলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষ হারুন।
তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, দোকানের সামনে গেলে আমাকে প্রানে মেরে ফেলবেন হারুন ও তার দলবল । দোকান ঘরটির ভিতরে কয়েক লক্ষাধিক টাকার হার্ডওয়ার সামগ্রী আছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে না পেরে মাসে এক থেকে দেড় লাখ লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাকে। আমি নিরুপায় হয়ে আবারও চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়। কিন্তু ওসি আমার অভিযোগ গ্রহন করেনি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মার্কেট মালিক হারুনুর রশিদ খবর ২৪ ঘন্টা বলেন, এ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার মার্কেটের দোকান ঘরটি আমি দখলে নিয়েছি। সমঝোতা ছাড়াই পুলিশের সহযোগিতায় কেন দখল করলেন এবং বালু দিয়ে দোকান ঘরটি কেন বন্ধ করে দিয়েছেন এর কোন উত্তর দেননি তিনি।
তবে তিনি আরো বলেন, রবিউল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। আদালতের মামলা না তোলা পর্যন্ত আমি তাকে দোকান খুলতে দেব না।
এবিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। প্রতিবেদককে বারবার থানায় চা খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন । পর্ব-১ নিচে ভিডিও লিঙ্ক….
বিএ/