এ যেন এক লাফে আকাশে চড়ে পর মুহূর্তেই পতন। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্ষেত্রে অনেকটা এমনই হয়েছে।তারকাখ্যাতি পেয়ে হয়েছিলেন ভিলেন। কিন্তু গত মাসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে হঠাৎই বিদায় জানান তিনি। তবে রেখে গেছেন অনেক প্রশ্ন।
কিন্তু যেসব কারণ দেখিয়ে আমির অবসরে গেছেন, সেসব কথায় কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক। তার মতে, আমির তিলকে তাল বানিয়েছেন।
আমির অবসরের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, দলের ভেতর প্রচণ্ড মানসিক নির্যাতন, অসহনীয় চাপ ও দলে বৈরি পরিবেশের কথা। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসেরও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মিসবাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমিরের ঘটনায় ওয়াকারের হাত থাকা নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু এসবে কোনো সত্যতা নেই। ৬ জন নির্বাচক ছিলেন, সঙ্গে আমি প্রধান নির্বাচক। তারপর অধিনায়ক তো ছিলই। কাজেই কেবলমাত্র একজনই দল নির্বাচনে প্রভাব রেখেছে, এটা অসম্ভব। ‘
মিসবাহ আরও বলেন, ‘পারফরম্যান্সের কারণেই তাকে কেউ দলে নিতে চায়নি। আমি বুঝতে পারছি না, কেন সে এত কিছু তৈরি করছে এবং গোটা দৃশ্যপটকে তিল থেকে তাল বানিয়েছে। সে দলে জায়গা পায়নি, এরপর প্রক্রিয়া ছিল খুব সাধারণ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে নিজের ফর্ম দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা আদায় করে নেওয়া। বাকি সবকিছু এখানে অবান্তর। স্রেফ সিনিয়র বোলার বলেই তো কাউকে নেওয়া যাবে না, ফর্মও দেখাতে হবে। ‘
এর আগে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমির যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন, তখন মিসবাহ ছিলেন অধিনায়ক। দলের অনেক ক্রিকেটার আমিরকে ফেরানোর বিরুদ্ধে ছিলেন।
সেই কথা মনে করিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘সে যখন ফিরে এলো, আমিই ছিলাম অধিনায়ক। তখন তাকে স্বাগত জানিয়েছি, সবকিছু একপাশে সরিয়ে কেবল পাকিস্তান ক্রিকেটের স্বার্থে তাকে সমর্থন করেছি। শাহীন আফ্রিদি, হাসনাইন, হারিস রউফের মতো বোলাররা যখন নিজেদের উজার করে দিচ্ছে, উন্নতি করছে এবং আমিরের চেয়ে ভালো করছে, তখন আমিরের উচিত ছিল ওদের সঙ্গে লড়াই করে দলে জায়গা করে নেওয়া। ‘
জেএন