আফ্রিকার দেশ নিরক্ষীয় গিনির বাটা শহর গত রোববার এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। মঙ্গলবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। এখন পর্যন্ত আহত ৬১৫ জন। এদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
রোববার বেলা ১টা নাগাদ সেখানে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর পরপর চারবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাটা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বড় বড় বাড়ি, লোহার স্ট্রাকচার। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় শহরের বড় একটি অংশ। এর আগে বৈরুতে ঠিক এভাবেই বিস্ফোরণ হয়েছিল।
তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, শহরের ভেতরেই অবস্থিত একটি সেনা ছাউনিতে প্রচুর পরিমাণ ডিনামাইট রাখা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। টেলিভিশনে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক শিশু, নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সেই সংখ্যা ৯৮ হয়ে যায়। এখনো ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকার সব চেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ শহর বাটা। ইকুয়াটোরিয়াল গিনিরও সবচেয়ে বড় শহর এটি। উপকূলবর্তী এই শহরে প্রচুর তেল মজুত আছে। অর্থনীতিও তেলনির্ভর। সূত্র : রয়টার্স
জেএন