আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ২২ নভেম্বর চেয়ারম্যান মনসুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করলে পদটি শুন্য হয়। এ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হলেও গোটা উপজেলায় ভোটারদের মাঝে এ নির্বাচনে উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি।
এ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ইয়াছিন আলী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত মামুনুর সরকার জেড এবং হারিকেন প্রতীক নিয়ে মুসলমি লীগ মনোনীত প্রার্থী আফজাল হোসেন প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন। প্রার্থীতা বাছাইয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মামুনুর সরকার জেড এর মনোনয়ন বাতিল হলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইয়াছিন আলীর বিজয় নিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে আপিলের মাধ্যমে মামুনুর সরকার জেড প্রার্থীতা ফিরে পেলেও ভোটের ময়দানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়তা পুরোপুরি কাটাতে পারেননি।
সরেজমিনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বিএনপি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের
মাঝে ভয়-ভীতি আর হতাশা কাজ করছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনে সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধাদান ও জোরপূর্বক ব্যালটে সীল মেরে বিজয় নিম্চিৎ করায় সাধারণ ভোটাররা ভোটদানে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। গ্রেফতার ও হয়রানীর ভয়ে তারা মুখ খুলছেন না।
এছাড়াও উপজেলার নওহাটা, কাটাখালী, দামকুড়া, দর্শনপাড়া, হুজরীপাড়া, হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের হুমকী ও ভয়-ভিতী প্রদর্শণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া- এ নির্বাচনে সরকার দলীয় এমপি, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নওহাটা ও কাটাখালী পৌরসভা মেয়র সহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রচারণা ও পদচারনা ছিল লক্ষনীয়।
এ ছাড়াও সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারী দলের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষ হতে ভোটারদের মাঝে অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে- ভোট দিয়ে কি হবে? ’ভোট দিলেও নৌকা পাশ- না দিলেও নৌকা পাশ’। শুধুমাত্র ভোটের বৈধতার জন্যই মামনুর সরকার জেড ও আফজাল হেসেনকে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রাখা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনায় প্রিজািইডিং অফিসার নিয়োগে দলীয়করণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এস/আর