বিশেষ প্রতিবেদক :
দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে শিক্ষানগরী রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ও বহু স্মৃতিবিজরীত ভূবনমোহন পার্ক। নগরীর মালেপাড়ায় অবস্থিত এই শহীদ মিনার। এই পার্ক এখন সম্পূর্ণ অ-রক্ষিত। রয়েছে সাইকেল ও মোটর সাইকেল গ্যারেজ। সেখানেই রয়েছে আবার অলিখিত প্রসাব খানা। এছাড়াও এখন এটা খেলা এবং আড্ডাখানার জায়গায় পরিণত হয়েছে। সেই সাথে নেশার একটি নিরাপদ স্থান হিসেবেও পরিণত হয়েছে এই পার্ক। এছাড়াও পার্কের মধ্যে রয়েছে চায়ের দোকান, মুল ফটকে রয়েছে জুতা স্যান্ডেলের দোকান। সব মিলিয়ে পার্কের হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এই পার্কে রয়েছে বাংলাদেশের সুর্য্য সন্তানদের সম্মানার্থে একটি শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনার
আরো বেশি অ-রক্ষিত। জনগণ এখানে জুতা স্যান্ডেল পরে অনায়াসে ঘোরাফেরা করে। বসে আড্ডা দেয়। কেউ দেখার নাই এগুলো। গতকাল বিকেলে পার্কের পার্শে অবস্থিত বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে আগত শিক্ষার্থীদের মায়েদের শহীদ বেদিতে জুতা স্যান্ডেল পরে বসে থাকতে দেখা যায়। এনিয়ে তাদের কোন প্রকার অনুভুতি নেই। মাথা ব্যাথাও নাই। বসে এবং দাঁড়িয়ে সবাই মিলে খোশ গল্পে মগ্ন ছিলো। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন করতে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ বিসর্জন দেন। ৩ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারান। অমানবিক নির্যাতন, নিপিড়ন সহ্য করে প্রানের বিনিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের সম্মান সবার উপরে হলেও জনগণ এর প্রকৃত মূল্যায়ন
করতে ভুলে যাচ্ছে। পার্কে আগত আরিফুজ্জামান, রিমন ও আব্দুল খালেকসহ অন্যান্য জনগণ বলেন, যারা কুরুচিপুর্ন ব্যক্তি তারাই পারে এই ধরনের কাজ করতে। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে জানে না, তাদেরই এই ধরনের কাজ করা সম্ভব বলে জানান তারা। উপস্থিত জনগণ দ্রুত শহীদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনসহ জনগণকেও এই ব্যপারে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর