আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে। যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।
আজ রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে, তাদের ভবিষ্যতে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আর বিবেচনায় আনা হবে না। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজিত হোক পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না, এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।
গতকাল দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয়ী সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির বিজয়।
তিনি এ বিজয়কে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরেও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয় বলেও মত প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে, গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিল আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ থেকে ৭০ ভাগ।
ওবায়দুল কাদের জানান, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, ভোটকেন্দ্র নাকি সরকারি দলের দখলে ছিল, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে তাদের ৪ জন প্রার্থী কিভাবে বিজয়ী হলেন?
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করে। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।
৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ছিল না কোনো জড়তা। ইভিএমে ভোট প্রদানে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে তা দুঃখজনক। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি লেগেই থাকতো। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।
জেএন