ফাইনালের উত্তেজনা মাটি হয়ে গেল প্রথম পাঁচ ওভারে মধ্যেই। মোহাম্মদ সিরাজ আর জাসপ্রিট বুমরাহর সামনে অসহায় শ্রীলঙ্কা পড়ল বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। হার্দিক পান্ডিয়াও ঝাঁজ দেখালে স্বাগতিকদের ইনিংস থামল পঞ্চাশ ছুঁয়েই। ভারত
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হারায় স্বপ্ন আগেই ভেঙে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মিশনে ফাইনালে খেলার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে গিয়ে লড়াইটা বেশ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। রোমাঞ্চকর ম্যাচে লঙ্কানদের থেকে জয় প্রায় কেড়েই
চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য হুট করেই রিজার্ভ ডে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এ নিয়ে সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিশ্লেষকরা কম সমালোচনা করেনি।
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বাঁচামরার ম্যাচে লঙ্কানদের যেভাবে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তাতে মনেই হচ্ছিল এই যাত্রায় জিইয়ে থাকবে বাংলাদেশের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের স্বপ্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের প্রথমদিকে পিছিয়ে পড়েও নার্ভ শক্ত রেখে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় নাজমুল হুদা ফয়সালের দল। শিরোপার মঞ্চে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের কাছে ৮৯ রানের জয়ে গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল পাকিস্তানের কাছে ব্যাটে-বলের
পাকিস্তানি পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে টাইগারদের টেনে নিয়ে যান সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমের জুটি। কিন্তু এই দুই অভিজ্ঞ
শ্রীলঙ্কার কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে ওঠার পথটা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে আফগানিস্তানকে ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে মহাদেশীয়
এশিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম দুই পরাশক্তির দেশ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। মঞ্চ যেটিই হোক, এই দুই দলের ম্যাচ মানে যেন খেলার চেয়েও বেশিকিছু। ঐতিহ্য, অহংকার আর আগ্রাসনের মিশেলে ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লড়াই