নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে প্রচন্ড গরম ও ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় পড়ছে তীব্র তাপদাহ। তাপদাহে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টায় ৭/৮ বার বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আরো নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন মানুষ। সবচাইতে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুররা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের কারণে রাজশাহীর আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়ে যায়। কিন্ত তারপর থেকে বৃষ্টি
না হওয়ায় রাজশাহীর আবহাওয়া আরো গরম হয়ে যায়। গরম আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে মানুষ আরো নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়ে আরো সমস্যার মধ্যে পড়ছেন মানুষ। দিনরাত মিলিয়ে ৭/৮ বার বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। এই সময়ে জমিতে সেচ দেওয়াও লাগেনা তারপরও লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। নগরীর হড়গ্রাম এলাকার সাজিদ নামের এক বিদ্যুতের গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, যেভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে তাতে মনে
হচ্ছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিনে পয়সায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। গরমের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান তিনি। রাহেলা নামের আরেক নারী অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতি নাই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তারপরও বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান কম সময়ের মধ্যে করা উচিত।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে বলে নগরবাসীর পক্ষ থেকে
অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেসকো কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও কম তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর/এস