বিএনপি ও জামায়াতের তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির শুরুতেই রাজধানীসহ দেশের সব মহাসড়কে টহল দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়।
সোমবার রাত থেকেই বিজিবি টহল শুরু করেছে।
সড়কে চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে এবার।
এদিকে ঢাকার বাইরের সব জেলার পুলিশ অবরোধ কর্মসূচিতে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সোমবার দফায় দফায় বৈঠক করে। জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলে কোনো আপত্তি নেই। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এর আগে শনিবার এবং রোববার দুদিনে সারাদেশে ৪৫টি আগুন দেওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৩টি আগুনের ঘটনার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ৪টি ঢাকা সিটি এলাকায় ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক আগুন দেওয়ার ঘটনার মধ্যে ৪১টি ঢাকা বিভাগে, ১টি রাজশাহী বিভাগ, ২টি খুলনা বিভাগে, ১টি রংপুর বিভাগে ঘটে এবং এসব অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি বাস, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি ট্রাক, ৭টি মোটরসাইকেল, ৩টি পিকআপ, ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশ বক্স, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুনের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগরীর শাজাহানপুর ফ্লাইওভারের নিচে অগ্নি নির্বাপণ শেষে ফেরত যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এবং একজন ড্রাইভার আহত হন।
এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সারাদেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন শেষে এ কর্মসূচি দিলো দলটি।
মহাসমাবেশে হামলা, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০