আগামী ২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো অশান্তির সৃষ্টি হোক সেটা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে বিএনপি কোনো অশান্তি সৃষ্টি করলে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২৭ জুলাই রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। এদিন আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে। এতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংঘাতের উসকানি আমরা কখনো দেব না। আমরা পাওয়ারে আছি। শুধু শুধু দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আমাদের লাভ নেই, বরং ক্ষতি। আমরা অশান্তি চাই না। কেউ যদি করে, জনগণের জানমাল রক্ষায়, শান্তির জন্য প্রটেকশন দেব। জনগণের স্বার্থে আমরা প্রটেকশন দেব।
বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই সমাবেশ সেখানেই পিকনিক পার্টি করে বিএনপি। তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই- তারা যেন মশার কয়েল বেশি করে আনে। মশার কয়েলটা নিয়ে আসবেন। কর্মীরা আবার আন্দোলন করতে এসে যেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি না হয়।
বিএনপির সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভীত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। কাজেই সরকার পতনের আন্দোলনে ভীত নয় আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ৪৮ বছরে একটি সাফল্যের নাম শেখ হাসিনা। যার প্রতিটি ক্ষেত্রে জ্ঞানের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। দেশের জন্য সঠিক কাজগুলো করেছেন শেখ হাসিনা, যার লেগাসির মৃত্যু নেই।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবচেয়ে বেশি অবদান যার সে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি নীরবে নিভৃতে বিপ্লব করেছেন। তিনি আসেন নীরবে, চলে যান নিঃশব্দে। আত্মপ্রচারে তিনি নিমগ্ন নন।
সম্প্রতি এক সমাবেশে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতারা কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবিতে সরকার পতনের হুমকি দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম দিবাস্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত। তারা সরকার পতনের স্বপ্ন দেখতে থাকুক।থ
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিসিএস পরীক্ষা দেই কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারি না। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ভাইভাতে গিয়ে আউট। আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট পান, তাকে বাধ্য হয়ে অনেক সময় ভিন্নমতের সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এটা তিনি প্রকাশও করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা কেন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয় না, পড়াশোনা কেন করেন না, এসব প্রশ্নগুলো তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রায়ই করেন। কোনো ছেলে-মেয়ের ভালো ফলাফল পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন বিসিএস দাও। আমাদেরতো লোক দরকার। সচিবালয়ে আরও কোয়ালিটি সম্পন্ন লোক দরকার। এ দেশে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নানা কায়দায়, কৌশলে ক্ষমতার মঞ্চে অধিষ্ঠিত, তারাই রাজত্ব করে গেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। তার কমিটমেন্ট, সততা, নৈতিক সাফল্য, প্রশাসনিক দক্ষতা, সাহস, দৃঢ়তা, শিক্ষা, সব মিলিয়ে তিনি সবার সেরা।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বক্তাই গৎবাঁধা বক্তব্য রাখেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একটা সেট আছে, কেউ ১৯৪৯ সাল থেকে শুরু করেন, কেউ ৭৫ থেকে শুরু করেন। কিন্তু এর ভেতরে তথ্য নিয়েও কথা আছে। এতে আমাদের জ্ঞান-গরিমার পরিচয় তো দিতে পারি না।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিক্ষা উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০