গোদাগাড়ীর আমবাগান পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মোহনপুর ইউনিয়নের পেঁচিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাকিব, মুনসুর আলী, নয়ন ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্ব শত্রæতার জেরে লিজ গ্রহীতা এনামুল হককে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা এবং পাঁচ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগসহ মুক্তিযোদ্ধার প্রায় ৫০ বিঘা আমবাগান পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি এনামুল হক বাদি হয়ে গত ৩১ মার্চ গোদাগাড়ী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য গোদাগাড়ী মডেল থানায় পাঠিয়েছে বলে এজাহার সূত্রে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মোহনপুর ইউনিয়নের বাংধারা মৌজায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীনসহ কয়েকজনের প্রায় ৫০ বিঘা আমবাগান রয়েছে। ওই বাগানের লিজ গ্রহিতা চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার এনামুল হক গত ২৫ মার্চ সেখানে কাজ করছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাশের পেঁচিপাড়া গ্রামের মৃত বকসির ছেলে আব্দুর রাকিব, মৃত-আসগর আলীর ছেলে মুনসুর আলী, নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন, মৃত মুনুরোদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে নিয়ে পূর্ব শত্রæতার জেরে বাগানের চারপাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় এনামুল হক প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মুনসুর আলী তাকে বাঁশ দিয়ে মেরে করে আগুনে ফেলার চেষ্টা করে। তারপর এনামুল হকের চিৎকারে এলাকার লোকজন আসলে আসামীরা চলে যায়। তবে ততক্ষণে পুরো আমবাগান পুড়ে বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, আমবাগান পোড়ানো ও হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি পূর্ব শত্রæতার জেরে করা হয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই বাগানের একাংশের মালিক মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীনের কাছে আসামীরা এক লাখ বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর তিনি গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন, যার
নম্বর ১৯। পরে আসামীরা এ ধরনের অপরাধ আর করবেন না বলে ক্ষমা চেয়ে মীমাংসা করেন। একই বছর ২১ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন পেঁচিপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে তার জমিতে যাওয়ার সময় একই আসামীরা তাকে গাছের সাথে বেঁধে মারেন। ওই দিনই তিনি গোদাগাড়ী থানায় জিডি করেন, যার নম্বর ৭৯২। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন। এরপর ২০১০ সালের ১৮ মার্চ একই আসামীরা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীনের জমিতে এনামুল হককে জখম করে টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাগানের আম লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় আহত এনামুল হককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে রাজশাহী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ২৯/২০১০ নং মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তা গোদাগাড়ী থানায় প্রেরণ করে, যার নম্বর ০৫/১৬৯। পরবর্তীতে আসামীরা এনামুল হককে আবারও প্রাণনাশের হুমকি দিলে তিনি একই বছর ৪জুন গোদাগাড়ী থানায় জিডি করেন, যার নম্বর ১৬২।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জানান, আমরা আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আমরা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবো এবং আদালতের পরবর্তী নির্দেশ বাস্তবায়ন করবো।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০