বিশেষ প্রতিনিধি : চাকুরী ছাড়ার ৭ মাস পর রহস্যজনকভাবে পিএ'র নামে অর্থ চুরির মামলা করেছে রাজশাহী মাদারল্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা খাতুন। আর সেই মামলায় বর্তমানে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার সাবেক পিএ ফজিলাতুন নেছা মেরী (৫৬) কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার ভাই নগরীর রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা এলাকার মুনসুর রহমানের ছেলে মাসুদ আলী পুলক। সে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান হিসাবে কর্মরত।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার বড় বোন নগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী ফজিলাতুন নেছা মেরী (৫৬) গত আনুমানিক ১২ বৎসর ধরে মাদারল্যান্ড হাসপাতালের ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার পি.এ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার বোন চলতি বছরের গত ১৭ মে ডাক্তারের বোনদের
সাথে কথাকাটাকাটিতে এবং মনোমালিন্যের একপর্যায়ে চাকুরী থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেন। কিন্ত ডা. ফাতেমা একাধিকবার কাজে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তার বোন চাকুরী করবেনা বলে ডাক্তারকে সাফ জানিয়ে দেয়। গত ১৭ আগস্ট ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকা তার বোনের নামে নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করেন থানার এস.আই হায়দার আলী। তিনি উভয় পক্ষকে ১৯ তারিখে থানায় উপস্থিত হতে বললে তার বোন থানায় হাজির হলেও ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকা হাজির হয়েছিলনা। যা এসআই হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
এদিকে, গত ২৮ নভেম্বর আবার রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৬৯। এবার ১ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ মামলা করা হয়। মামলার তারিখ ২৮ নভেম্বর রাত ১২টা
২৫ মিনিট। মামলা রেকর্ড করেন রাজপাড়া থানার ওসি। মামলার পর রাত ২টায় কোন তদন্ত ছাড়াই অল্প সমেয়র মধ্যে গ্রেফতার করেন তার বোন মেরীকে। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২৭ অক্টোবর টাকা চুরি হয়। অথচ মামলা দায়ের করেছেন ২৮ নভেম্বর রাতে। তিনি ও তার ফটো সাংবাদিক জাহিদ মৌখিকভাবে এ.সি, রাজপাড়াকে বিষয়টি জানান। ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকা ও তার ইউসুফ জামাত শিবিরের এজেন্ট এবং ডোনার ও জামাত শিবিরে রোকন পদে বহাল আছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তার স্বামী ও ছেলে তালহার নামে একাধিক নাশকতার নামে মামলা রয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে সরকারের পক্ষ থেকে। জামাত শিবিরের লোকের কথায় ওসি শাহাদত হোসেন পরিকল্পিতভাবে ও মোটা অর্থের বিনিময়ে ষড়যন্ত্র মূলক মামলাটি নেন। এর সাথে এস.আই মুকবুল হোসেনের যোগসাজশ রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু অসাধু পুলিশ অফিসার নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির
জন্য ইচ্ছেমতো মনগড়া, ভিত্তিহীন, মিথ্যা, বানোয়াট মামলা নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করতে লিপ্ত আছে এবং এইসব কর্মকর্তাদের জন্য পুলিশ বাহিনী সারাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। যা পুলিশ বাহিনীর জন্য হুমকী স্বরুপ। এই বিজয়ের মাসে তার নিরিহ বোন ফজিলাতুন্নেসা মেরীকে হেনস্থা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই তার বোনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন এবং বর্তমানে তিনি এই মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করছেন। রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদত ও এস.আই মকবুলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তার বড় বোন। এখন তার বোনের পুরো পরিবার দূর্বিসহ ও অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে কখন যেন অতর্কিত জীবননাশের হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়াও ওসি শাহাদত রাজপাড়া থানায় নিজেই কৌশলে তার মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তথাকথিত কিছু সাংবাদিকদের সরবারহ করেছে। তিনি এই মিথ্যা মামলাটি তদন্ত করে দোষিদের শাস্তি ও তার বোনকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহাদত হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তদন্ত করা হয়েছে। এসআই মকবুল তদন্ত করেছে। প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করেন, রাতেই মামলা হলো ও রাতেই তদন্ত হলো এর প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এক মাস আগে তদন্ত করা হয়েছে। প্রথমে জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছে। পরে মামলা দিয়েছে। এখন তদন্ত হচ্ছে। আগে অনুসন্ধান এখন তদন্ত চলছে। আপনি যেটা ভালো বোঝেন সেটা লেখেন। এর আগে তদন্ত করে কিছু পাওয়া যায়নি এখন পাওয়া গেল? আপনার বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন অপরাধ করিনি। অপরাধ করলে আমাকে শাস্তি পেতে হবে। তদন্ত হবে সমস্যা কি?
আর/এম
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০