আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে ৯০ যাত্রী ও ৮ ক্রু নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি লাহোর থেকে এসেছিলো বলে জানা গেছে।
লাহোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো বলে বিবিসি খবরে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিধ্বস্ত বিমানের কিছু ছবি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে বিমান বিধ্বস্তের স্থান থেকে ধোয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিলো।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করাচীর কাছে মডেল কলোনিতে এয়ারক্রাফ্ট এ-৩২০ এয়ারবাসটি বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তানের বিমান চলাচলকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাহোর থেকে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৯০ জন যাত্রী ছিল।
পাকিস্তানের বিমান চলাচলকারী সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল্লাহ হাফিজ জানান, লাহোর থেকে ৯০ জন যাত্রী ও ৮ জন বিমান স্টাফ নিয়ে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বিমানটি। বিমানটি উদ্ধারের সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আপাতত এর থেকে বেশি কোন তথ্য নেই আমাদের কাছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘বিমানটি করাচিতে বিধ্বস্ত হয়েছে৷ আমরা যাত্রীদের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু প্রাথমিকভাবে (জানা গেছে) এতে ৯৯ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু সদস্য ছিলেন৷’ রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি লাহোর থেকে আসছিল বলে জানান তিনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দুই থেকে তিনবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল৷
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বন্ধ রাখার পর সম্প্রতি বাণিজ্যিক বিমান চলাচল আবারও চালু করেছে পাকিস্তান৷
এর আগে ২০১০ সালে ইসলামাবাদে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫২ জন প্রাণ হারায়। ২০১২ সালে পাকিস্তানের ভোজা এয়ার পরিচালিত একটি বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২১ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে আরেকটি বিমান ৪৭ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
খবর২৪ঘণ্ট/ এনজে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০