খবর২৪ ঘণ্টা, স্পোর্টস, ডেস্ক: পেলের প্রকাশিত ১০০ জন জীবিত বিখ্যাত ফুটবলারদের তালিকায় বুফনও স্থান হয়েছিলো। তিনি ৮ বার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন, যা একটি রেকর্ড। ইতালির ২০০৬ বিশ্বকাপ জেতার পর তিনি ইয়াশিন পুরস্কারও জিতেন।
শনিবার হেয়াস ভেরোনার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সব আলো ছিল কেবল তারই ওপর। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ১৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন তিনি। এমন বিদায়টাও তার দল জয় দিয়েই রাঙিয়ে দিয়েছে। ২-১ গোলের জয় নিয়েই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জুভেন্টাস।
ইতালীয় গোলরক্ষক যিনি সিরি এ জুভেন্তাস এবং ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। তিনি উভয় দলেই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতালি জাতীয় দলের হয়ে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক খেলায় মাঠে নেমেছেন। এছাড়া তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হিসেবেও মনে করা হয়।
বৃহস্পতিবারই এই মৌসুম শেষে জুভেন্টাস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বুফন। তাই সব রকম প্রস্তুতি নিয়েই তাদের কিংবদন্তিকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন সমর্থকরা। ম্যাচ শুরুর আগেই চোখের পানিতে ভিজে একাকার বুফন ও তার ভক্তরা। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণ রৌদ্রোজ্জ্বল প্রকৃতিও তাকে সঙ্গ দিয়েছে। কিন্তু ৬৪ মিনিটে যখন কার্লো পিনসোগলিওকে জায়গা দিয়ে তিনি মাঠ ছাড়লেন, আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হলো। যেন ফুটবলের এই নায়কের বিদায়ে আকাশও কেঁদে তার দুঃখ জানিয়ে দিলো।
২০০১ সাল থেকে যাকে আদর্শ মেনেছে ভক্তরা, তার শেষ ম্যাচে বিদায়টা রাঙিয়ে দিতে কোনও কমতি করেনি গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা। ম্যাচ শুরুর আগে স্ট্যান্ডে ভক্তদের জড়িয়ে ধরলেন, হাত মেলালেন এবং ভক্তরাও তার কপালে চুমু দিলো।
পুরো গ্যালারি ঢাকা ছিল ব্যানারে। তেমনই এক ব্যানারে লেখা ছিলো ‘অমর নায়ক বুফন’। ইতালির দীর্ঘদিনের এক নম্বর জার্সিধারীর অল্পবয়সী এক ছবির ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘হ্যালো গিগি! তুমি আমার আশ্চর্য দেয়াল’। একটি ব্যানারে খুব ছোট্ট শব্দে খেলা ছিলো ‘কিংবদন্তি’।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০