আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক কাইয়ুম নামে এক
মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার ঘোষবাগ
এলাকার ইদ্রিস আলীর ভাড়াকৃত একটি কক্ষ হতে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত
কাইয়ুম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার বারঘরিয়া এলাকার মো: সামছুদ্দিনের
ছেলে। সে আশুলিয়ার দেওয়ানপাম্প গলির ঘোষবাগ ইদ্রিস আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে
জামগড়া এলাকার মদিনাপেল ফ্যাশনস ক্রাফট লি: হতে আয়রনম্যান (বরখাস্ত) পদে
চাকরি করতো।
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর ইন্টেলিজেন্স
উইং শাখার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মাহমুদুর রহমান বলেন, ৬
নভেম্বর’১৯ আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া মদিনাপেল ফ্যাশনস ক্রাফট লি: হতে শ্রমিক
বরখাস্ত হন। বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের মধ্যে আয়রন পদের কাইয়ুমও ছিল।
বরখাস্তকৃত শ্রমিকের স্বভাব, চরিত্র/ নাম ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল গত ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসি বরাবর প্রেরণ
করা হয়। পরে নান্দাইল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তদন্তকালে জানতে
পারে যে, উল্লেখিত ঠিকানার ব্যক্তি আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে মারা গিয়েছে
মর্মে ওই এলাকার লোকজন এবং তার ভাই হুমায়ুনসহ স্বজনরা তাকে জানিয়েছেন।
কিভাবে মারা যায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানা
যায়, রানা প্লাজা অথবা তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সে মারা গিয়েছে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা
শামীনুর রহমানের নির্দেশনায় ইন্টেলিজেন্স উইং শাখার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক
মাহমুদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই সুজন মিয়া শনিবার (৪
জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার দেওয়ান পাম্প গলির ইদ্রিস আলীর
ভাড়া বাসার একটি কক্ষে সাক্ষাত করে তার পরিচয় নিশ্চিত হন। পরে তাকে
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ-১ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে
কাউয়ুমের ভাই হুমায়ুনের সাথে তার মোবাইলে কথাকালে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
তবে তারা প্রথমে জানিয়েছেন যে তার ভাই কাইয়ুম রানা প্লাজা বা তাজরীন
ফ্যাশনের দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। তার জীবিত থাকার বিষয়টিকে প্রথমে তারা
বিশ্বাসই করতে চায়নি।
তিনি আরো বলেন, আর্থিক অভাব অনটনের কারণেই হয়তো বা কাইয়ুম আত্মগোপনে ছিল।
এদিকে কাইয়ুমের স্ত্রী ও তার দুই মেয়ে
সন্তান রয়েছে। তারা জানান, তারা বরিশালের বেলতলা এলাকায় বসবাস করেন। ৫/৬
বছর আগে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় থাকতেন। পরে সেখান থেকে তারা বরিশালে
চলে আসেন।
এলাকাবাসীর ধারণা কাইয়ুম হয়তো বা নিখোঁজের মাধ্যমে বা মৃত সাজিয়ে তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনার সুবিধা গ্রহণ করে আত্মগোপনে থাকতেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখলে তার আত্মগোপনের রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও ধারণা করা হয়। সুত্র : নয়া দিগন্ত
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০