দেশপ্রেম এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এক অনন্য নজির দেখালো ভারতের রাজস্থানের ধলপুর জেলা। ওই জেলার ধীমরি গ্রামের ৩৫ জন বাসিন্দা এক সৈনিকের নেতৃত্বে ২১০ কিমি পায়ে হেঁটে কানওয়ার যাত্রা করে মহা শিবরাত্রি তিথিতে জলাভিষেক করলেন ভগবান শিবের। ওই দলটির সঙ্গে ছিল ১০৫ কেজি ওজনের ১১০৮ টি দামোল। সেগুলিকে জাতীয় পতাকায় মুড়ে নিয়েই ধলপুরে পৌঁছায় দলটি।
২১০ কিলোমিটার দূর থেকে বয়ে আনা ওই পবিত্র জল দিয়েই বাবা ভোলেনাথের আরাধনা করেন তাঁরা। পুরো দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সৈনিক কুলদীপ ফৌজি। তিনি বলেন, ‘মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্যে দামোলে আনা গঙ্গাজল দিয়ে শিবের উপাসনা করা এবং দেশের অমর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই এই কানওয়ার যাত্রার মূল উদ্দেশ্য।’
৩৫ জনের এই দলটি দিন তিনেক আগে উত্তরপ্রদেশের সাউড়ো ঘাট থেকে শুরু করে কানওয়ার যাত্রা। এরপর ৩ দিনে পায়ে হেঁটে মোট ২১০ কিমি পথ পাড়ি দেন তাঁরা। অবশেষে দীর্ঘ যাত্রার পর গতকাল এসে পৌঁছান সম্পাউনের ঐতিহাসিক শিব মন্দিরে। যেখানে শিবলিঙ্গে কানওয়ারের পবিত্র জল ঢেলে করা হয় জলাভিষেক।
সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে ধর্মীয় এই শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন এক মুসলিম যুবকও। হুসেন আলভি নামের ওই যুবক কানওয়ার যাত্রা করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান ওই শিব মন্দিরে। এই কাজের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নিদর্শন তৈরি করেন তিনি।
১১০৮ টি দামোল নিয়ে এই দীর্ঘ পথ কানওয়ার যাত্রা কার্যতই বিরল। মহাশিবরাত্রি তিথিতে পূণ্য অর্জন ছাড়াও এই দলটির সবচেয়ে বড় উদ্দ্যেশ্য ছিল দেশের বীর শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। তাঁদের এহেন অভিনব দেশপ্রেমের পন্থায় স্বভাবতই আপ্লুত দেশবাসী। এই দলটির প্রশংসায় মজেছেন আপামর দেশবাসীই। এহেন ঘটনায় স্বভাবতই বেশ শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
বিএ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০