নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলায় দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারো ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পেঁয়াজ কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। বর্তমানে নগরী ও আশেপাশের উপজেলাগুলোতে দেশি নতুন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করেই লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারো টিসিবির পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকেছেন ক্রেতারা। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পর দাম কিছুটা কমার পর টিসিবির পেঁয়াজের চাহিদা কমে যায়। চাহিদা কমে যাওয়ায় ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে টিসিবি। প্রথম দিকের মতো লম্বা লাইন থাকলেও পরে টিসিবির পেঁয়াজের ক্রেতা কমে যায়। এ কারণে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার ছাড়াও পাড়া-মহল্লায়
গিয়ে বিক্রি করা শুরু করে। দিনভর পেঁয়াজ বিক্রি করলেও ক্রেতারা তেমন সাড়া দেয়নি। কিন্ত হঠাৎ করেই দাম বেড়ে যাওয়ায় আবার ক্রেতারা টিসিবির পেঁয়াজ কেনার জন্য লাইন ধরছেন।
রোববার সরজমিনে রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। মাত্র কয়েকদিন আগেই যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় উঠে যায়। দাম বেড়ে যাওয়ার পর নতুন দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কমে যায়। আর টিসিবির দিকে ঝুঁকে পড়েন ক্রেতারা। নগরীর লক্ষীপুর কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা রাইজুল নামের এক ক্রেতা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিÐিকেট যেভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা
হাতিয়ে নিচ্ছে তাতে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে এখন আর দেশি পেঁয়াজ কিনছিনা। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিলে যদি দাম নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনই উচিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মহিদুল্লাহ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না আসতেই আবার দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার লক্ষèন ভালো নয়। এখন প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা। এদিকে, রোববার দুপুরে নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে টিসিবির পেঁয়াজের ট্রাকের সামনে অনেক ক্রেতাকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতারা লাইন ধরে পেঁয়াজ কেনেন। টিসিবির ট্রাকের সামনে পেঁয়াজ কেনার জন্য লাইনে
দাঁড়ানো এক নারী ক্রেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, কিছুদিন ধরে টিসিবির পেঁয়াজ কেনা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্ত দেশি নতুন পেঁয়াজের দামও লাগামহীন হয়ে যাওয়ায় আবার টিসিবির পেঁয়াজ কিনছি। এ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। যত দাম বেড়েছে পেঁয়াজের তাতে সেই দামে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব নয়। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। রাবেয়া নামের অপর এক নারী ক্রেতা বলেন, বাধ্য হয়েই টিসিবির পেঁয়াজ কিনছি। দেশি পেঁয়াজের দাম যা বেড়েছে তাতে তো সেই দামে কেনা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এ বছর সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে রাজশাহীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম
উঠে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি সারাদেশে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা শুরু করে। এরপর নতুন পেঁয়াজ উঠায় গ্রাহক কমে যাওয়ায় ১০ টাকা কমিয়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। দেশি পেঁয়াজের দাম আবার নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় টিসিবির পেঁয়াজের প্রতি চাহিদা বেড়েছে ক্রেতাদের।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০