খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করলেন স্ত্রী। তিনি বললেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শক্তি প্রয়োগ করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তার স্বামী। এ ছাড়া স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তুলেছেন আরো গুরুত্বর সব অভিযোগ। তিনি দাবি করেছেন, তার কাছে যৌতুক দাবি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
উত্তর কলকাতার সিন্থি’র বাসিন্দা ওই নারী। তিনি আদালতে মামলা করেছেন। এতে দাবি করেছেন, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরও তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবাহিত জীবনে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এটাই হয়তো প্রথম। ওই নারীর অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত করছে। তাতে দেখা গেছে, তাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিক দেখাশোনার মাধ্যমে। বিয়ের সময় ওই নারীর পরিবারকে বলা হয়েছিল, তার হবু স্বামী একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা। তাদের বাড়ি বাঁশবাড়িয়া। এতে রাজি হয়ে যান তার বাড়ির লোকজন। বিয়ে হয় তাদের। স্বামীর সংসারে যান ওই যুবতী। সেখানে গিয়ে তিনি আস্তে আস্তে টের পান তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার স্বামী আসলে কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা নন। তিনি একটি ছোট্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা।
এর কয়েকদিন পরে তিনি চাকরিতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। তাতে ওই যুবতীর মধ্যে আরো ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এ সময় প্রতারিত হয়ে তিনি তার স্বামীকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তার স্বামী তার ওপর নানাভাবে শক্তি প্রয়োগ করেন। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তার ওপর নির্যাতন চালায়। এ অবস্থায় অন্য কোনো উপায় না পেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন। একজন কর্মকর্তা ওই যুবতীর অভিযোগ যাচাই করছেন। তিনি বলেছেন, আমরা সব অভিযোগ যাচাই করে দেখছি এবং আইনগত সহায়তা কি তা দেয়ার চেষ্টা করছি।
ওদিকে নারী অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো বিবাহিত জীবনে ধর্ষণ সহ ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা সংশোধন করার দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে এফআইআর হতে পারে প্রথম পদক্ষেপ এবং বাস্তবতা দেখা মিলবে পুলিশের চার্জশিটের ওপরে। নারী অধিকার আন্দোলনের সংগঠন স্বায়াম-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অনুরাধা কাপুর বলেছেন, ধর্ষণকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যৌন সম্পর্ক অথবা কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার প্রজননতন্ত্রে কোন কিছু প্রবেশ করানো। একজন নারী যখন বিয়ে করেন তখন তার ‘না’ বলার অধিকার কেড়ে নেয়া উচিত নয়। একজন স্বামী তার স্ত্রীর শরীরটার মালিক নন এবং তিনি নিজের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তা যেকোন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন না। এক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতি থাকতে হয়।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের দাবিতে কাজ করা সংগঠন মৈত্রেয়ী’র শ্বাশ্বতী ঘোষ সিন্থির ওই নারীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০