খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদের কক্ষ থেকে স্বামী ও ড্রামের ভেতর থেকে স্ত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি দল লাশ দুটি উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটির মধ্যে একটি বাড়িটির কেয়ারটেকার শহিদুলের (৩৫), অন্যটি তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের (৩০) বলে ধারণা করছে ভবনটির বাসিন্দারা।
শহিদুলের লাশ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল, আর ওই কক্ষের সামনের একটি ড্রাম থেকে মর্জিনার লাশ উদ্ধার হয়। স্ত্রীকে হত্যার পর শহিদুল আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা পুলিশের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ডিভিশনের ডিসি জামিল হাসান দেশ রূপান্তরকে জানান, ফকিরাপুলের পাঁচতলা ওই ভবনটির পুরোটাই ছাপাখানা। ভবনের ছাদের একটি কক্ষে কেয়ারটেকার শহিদুল ও তার স্ত্রী থাকতেন। গত রবিবার থেকে শহিদুলকে ভবন ব্যাবহারকারীদের কেউ দেখেননি।
বুধবার ভবনে পানির সমস্যা দেখা দিলে ছাপাখানার লোকজন শহিদুলের খোঁজ করতে ছাদে যায়। সেখানে গিয়ে তারা দুর্গন্ধ পেয়ে শহিদুলের কক্ষের দরজা ধাক্কা দিলে তা খোলা পায়। এ সময় কক্ষে ঢুকে তারা শহিদুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পরে কক্ষের সামনে থাকা একটি নীল রংয়ের ড্রামের ভেতরে ওড়না দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন ছাপাখানার লোকজন। ড্রামটির মুখ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে আটকানো ছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুলের ঝুলন্ত এবং ওই ড্রাম থেকে মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, শহিদুল তার স্ত্রীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জামিল হাসান বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যা কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে।’
এমকে