খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: সেনা মোতায়েনে ভোটারদের মাঝে আস্থা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, যারা স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে না, তারাই মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। আজকে যারা ভোটাধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে চায়, তারাই ইয়াহিয়া খানের উত্তরসূরি।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেআইনি আদেশ হলে আপনাদের কর্তব্য-আপনারা বলবেন, এ আদেশ বেআইনি; আমি মানতে পারছি না। এটি করতে হবে আইজি থেকে শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল-সবাইকে।
বেআইনি আদেশ নিয়ে এই বিশিষ্ট আইনজীবীর ভাষ্য-বেআইনি আদেশ মানা অপরাধ। যারা এমন আদেশ দিচ্ছেন, তারা সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ করছেন। তারা বেআইনিভাবে শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছেন।
পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি হিসেবে সাধারণ মানুষের ওপর কোনো হামলা করবেন না। যারা হামলার নির্দেশ দিচ্ছেন, তারা বেআইনিভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন-বেআইনি নির্দেশ মানা আপনাদের কর্তব্য নয়।
ড. কামাল বলেন, সেনাবাহিনীর ভাইয়েরা শহীদদের উত্তরসূরি, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরি। কাজেই আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো দায়্ত্বি আপনাদের নেই।
‘আমরা ভোটাধিকার হারিয়ে ফেললে সংবিধানও থাকবে না, স্বাধীনতাও থাকবে না।’
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও মানুষকে ভোট দিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে-এটি লজ্জার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, যারা ভোটাধিকার অস্বীকার করেছিলেন, একাত্তরে জনগণের কাছে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। তখন অনেক ভয়ভীতি অতিক্রম করেই আমরা ভোট দিয়েছিলাম।
‘তখনকার স্বৈরাচারী সরকার অনেক শক্তিশালী ছিল। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের পেছনে ছিল। কিন্তু আমরা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম নিরীহভাবে। অস্ত্র পেলাম, ট্রেনিং নিলাম, যুদ্ধ করলাম। তার পর যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদের ওপর যুদ্ধ জয় করেছিলাম।’
তিনি বলেন, এখন যারা অহঙ্কার করছেন, তাদের সেই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০