সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের
শাহজাদপুরে অবৈধ ড্রেজারে বালু ব্যাবসায়ীদের দৌড়াত্ব দিন দিন বেড়েই
চলেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা কোথাও কোন
প্রতিকার পাচ্ছে না। সম্প্রতি অবৈধ ড্রেজারের নিষ্কাশিত পানির চাপে হাজারো
মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে।
উপজেলার পোরজনায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা
যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ২শো গজ দক্ষিণে চর-বাচঁড়া গ্রামের প্রবেশ পথের অবৈধ
ড্রেজারের মাধ্যমে জুলফিকার ও সাহাদাতে খালে বালু ফেলা হচ্ছে। এতে
ড্রেজারের পানির চাপে পোরজনা থেকে চর-বাচঁড়া গ্রামের প্রবেশের একমাত্র
সড়কটি ভেঙে গেছে। এর ফলে এই পথে যানবান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং পায়ে
হেঁটেও ভাঙ্গা অংশটি অতিক্রম করা যাচ্ছে না।
ড্রেজারে বালু ক্রয় করে খাল ভরাটকারী
জুলফিকার ও বাবলু জানান, রমজানের ড্রেজারে হানিফ, নুর ইসলাম ও খোকনের
মাধ্যমে এই বালু আমি ফেলছি। তিনি আরো বলেন সব জায়গায় কথা বলেই কাজ করছি।
রাস্তা ভেঙে মানুষের চলাচল বন্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,
সরকারি রাস্তা ভাঙলে সরকারই ঠিক করবে।
এই পথে চলাচলকারী পথচারীরা জানান, রাস্তা
ভেঙে যাওয়ায় আমরা চলাচল করতে পারছিনা। রিকশা ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহন
চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পন্য ও দুধ পরিবহন করতে
অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়। গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা
কেন্দ্রে নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে। তারা আরও বলেন স্থানীয় ইউপি
চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদতেই তার আত্মীয় ড্রেজার চালাচ্ছে।
এই বিষয়ে পোরজনা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান মোঃ উসমান গনি কে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমেই এই প্রতিনিধিকে
পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন আপনার উদ্দেশ্য কি। তারপর তিনি জানান, এই বিষয়ে
আমি কিছুই জানিনা, কেউ আমাকে কিছু বলেনি। অথচ ঘটনাস্থল ইউনিয়ন পরিষদের
পাশেই।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ সামসুজ্জোহা কে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ হোসেনের
সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাস্তা ভাঙার বিষয়ে কর্ণপাত না করে
ড্রেজার চালু এখনও আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এবং ড্রেজার পরিচালনা কারীদের
নাম ঠিকানা জানতে চান।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০