খবর২৪ঘন্টা নিউজে ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের দাসপাড়া এলাকায় মেহেনাজ পারভীন (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেনাজ পারভীন ভোমরা দাসপাড়ার রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।
মেহেনাজ পারভীনের ভাই সুমন হোসেন অভিযোগ করেন, তিন মাস আগে মেহেনাজের সঙ্গে রিপনের বিয়ে হয়। সম্প্রতি তারা ভোমরা দাসপাড়ায় ঘরসহ জমি কিনে বসবাস করতে শুরু করে। একই সঙ্গে রিপনের বোন রুপা ও তার স্বামী হযরত আলী থাকতো। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজকে নির্যাতন করতো রিপন, তার বোন রুপা, বোনের স্বামী হযরত, শ্বশুর রবিউল, ও শাশুড়ি খাদিজা।
সুমন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাকে রিপন ফোন করে জানায় মেয়েকে নিয়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলবে। রাত ৯টার দিকে মেহেনাজকে নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তার শ্বশুর মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে বলে। রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মেহেনাজ মারা গেছে বলে খবর পাই। রাত ১১টার দিকে তার মরদেহ লক্ষ্মীদাড়িতে এনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে একটি ঘরে রাখে। রিপনের চাচা বাবলুর সহযোগিতায় ঘরের জানালা ভেঙে রিপনের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। মেহেনাজেরে নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল।
তবে রিপন হোসেন জানান, তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, রাতেই খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য ও গৃহবধূর পরিবারের বক্তব্য নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। স্বামীর পরিবার বলছে, শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। আর গৃহবধূর পরিবার বলছে, হত্যা করা হয়েছে। তার স্বামী একটু মানসিক ভারসম্যহীন। বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০