১৮ আগস্ট, ২০২১ রাজশাহী থেকে অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত উপচার পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও ১৯ আগস্ট উপচার পত্রিকার প্রথম পাতায় আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিত্তিহীন ও মানহানি মূলক মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রকাশিত সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত মানহানিকর খবরে বলা হয়েছে আমার এলাকার আজিজ আলম পিতাঃ মেরাজুল ইসলাম নামক জৈনিক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আমার এলাকায় আজিজ আলম নামক কোন ব্যক্তি আছে বলে আমার জানা নাই। থাকলেও আমি তাকে চিনি না। মিথ্যা অভিযোগের কোনরকম সত্যতা যাচাই-বাছাই করা ছাড়াই খবরটা শুধুমাত্র আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই করা হয়েছে।
খবরটি যে সাংবাদিক করেছে সে যে প্রতিহিংসার জের ধরে করেছে তা সাংবাদিক মহলসহ স্থানীয়রা সবাই ভালোভাবেই জানে। বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত খবরের কিছু ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হলো, খবরর প্রথমেই বলা হয়েছে আমি নাকি 'নামধারী' সাংবাদিক!! কখনোই কোন সংবাদমাধ্যমের সাথে যুক্ত ছিলাম না। যা ১০০ ভাগ মিথ্যা। আমি আঞ্চলিক ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করেছি। যুগান্তর, আজকের কাগজ, প্রথম আলো, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, দৈনিকবার্তা, INB বার্তা সংবাদ সংস্থা, দৈনিক খবর পত্র, দি নিউ নেশনসহ ইত্যাদি পত্রিকায় কৃতিত্ত্বের সাথে কাজ করেছি।
অথচ বলা হয়েছে আমি ' নামধারী সাংবাদিক। আমি নামধারী সাংবাদিক হলে রাজশাহীতে প্রকৃত সাংবাদিক বলে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বলা হয়েছে, আমার নামে থানায় ২টি ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, জবরদখল, লুটপাট সংক্রান্ত মামলা আছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার নামে কোনো থানায় ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা নাই। আমার নামে ২৫টি মামলা আছে । আমার নামে ৩ টি মামলা আছে। আশা করি সেগুলো খালাস পেয়ে যাব। এর কতগুলোতে আমি ইতোমধ্যে বেকসুর খালাস পেয়েছি। আর কিছু মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়েছে তা বলা হয়নি।
বলা হয়েছে আমি নাকি বিএনপি-জামায়েত এর সাথে জড়িত এবং শিবিরের অস্ত্রের যোগানদাতা! আমি বিএনপি , জামায়াত, শিবির আ:লীগ, ইত্যাদি কোন দলের সাথেই কোনদিন যুক্ত ছিলাম না। আর না এখনও জড়িত। বলা হয়েছে আমার সোনালী, রূপালী, অগ্রনী, যমুনা ব্যাংকে ২০ কোটি টাকা জমা আছে!! এই ব্যাংক গুলোতে ২০ কোটি টাকা থাকা তো দূরে থাক আমার এই ব্যাংক গুলো তে একাউন্টই নাই। এত টাকাও আমার নাই! আমার নাকি রামচন্দ্রপুর হাটে ১০কাঠা জমি, বিলসিমলাতে প্লট, উপশহরে দখলকৃত ২টি প্লট আছে। একেবারে মনগড়া ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যে পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সেই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কিছুদিন আগে পলাতক থাকা অবস্থায় র্যাবের হাতে আটক হয়। সেই নিউজটি আমার প্রতিষ্ঠানসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর এই ঘটনার জের ধরেই আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণ দিতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমার বাবা একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারী ছিলেন। টিকাপাড়া (খুলিপাড়া) এলাকায় আমার বাবার দানকৃত পৈত্রিকনিবাস ছাড়া বাংলাদেশের কোন এলাকায় আমার নামে ১/২ কাঠা জমিও নাই। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে এর অতিরিক্ত কোন সম্পত্তি আমার আছে আমার যা শাস্তি হবে তা মাথা পেতে নিব। আরো লিখেছে জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ বাবদ চাঁদাবাজি করি, থানায় তদবির করে টাকা হাতায়, বিলসিমলা থেকে চাঁদাবাজির জেরে এলাকাবাসী আমাকে উৎখাত করে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর প্রকাশের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি! অভিযোগ থাকলে তদন্ত হোক, তদন্ত হলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। কিন্তু, শুধু মাত্র প্রতিহিংসার জেরে এই রকম মানহানীমূলক মিথ্যা খবর প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি! এই সব ভিত্তিহীন খবরের প্রমাণ উপচার কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা খবর প্রকাশ রীতিমতো আইনবিরোধী।
উপচার কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলছি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভুল স্বীকার করে এই বানানো খবর সরিয়ে ও মিথ্যা খবর প্রকাশের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য সময় দেয়া হলো নইলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও এর সাংবাদিকের এবং মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো!
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০