খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ হামলায় ছাত্রলীগের কেউ যদি জড়িত থাকে, আমি তার বিচার করব
সোমবার (৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আমাকে তথ্যপ্রমাণ দেন, ছাত্রলীগের কারা হামলা করেছে লিস্ট দেন। আমি অবশ্য এর বিচার করবো।
আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেনি। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা কেউ অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় আসেনি। কারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নাই। এদের আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করার কোনো এজেন্ডা নেই। এই এজেন্ডা তাদের যারা, তাদের আন্দোলনের ওপর ভর করে এখানে রাজনীতির ডার্টি খেলায় মেতে উঠেছে।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে রোববার হামলার ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক নেতার ছবিসংবলিত একটি পত্রিকায় কাটিং দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমির খসরু মাহমুদের প্রকাশ্য যে আহ্বান, এই আহ্বানটি তারা সিক্রেটলি সারা দেশে পৌঁছে দিয়েছিল। যার ফলে বিএনপি এবং জামায়াতের তরুণ ক্যাডাররা গত কয়েক দিন ধরে ঢাকায় আসে। যেই মুহূর্তে তারা দেখল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জমছে না, তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তে এই দুই দলের তরুণ ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেই শাহবাগ মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় হয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে আসে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের নয় বছরের আন্দোলন করতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে দলীয় ক্যাডারদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সরকার হঠাও আন্দোলনের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া সড়ক ও পরিবহন আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেপরোয়া যান চালনায় মানুষ হত্যা হলে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেলের বিধান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে যানবাহন চালানোর ফলে হত্যা হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বেপরোয়া যান চালনায় মানুষ হত্যা হলে ১৯৮৩ সালের আইনে তিন বছর জেল-এর বিধান ছিল, সেটাই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ৫ বছর জেলের বিধান করা হয়েছে। এ আইনে জামিনের কোনো সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে যানবাহন চালালে এবং তা প্রমাণ হলে তা ৩০২ ধারায় চলে যাবে এবং তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। প্রসঙ্গত ১৯৮৩ সালের সড়ক নিরাপত্তা আইনে বেপরোয়া যান চালনায় হত্যা হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান ছিল।
রমিজ উদ্দিন কলেজের ছাত্র দুর্ঘটনায় দুজন মারা যাওয়ার বিষয়ে কাদের বলেন গাড়ির মালিক, ড্রাইভার, হেলপার গ্রেফতার হয়েছে, রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং যদি প্রমাণিত হয় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালিয়েছে তাহলে ৩০২ ধারায় বিচার করার সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নয় দফা আন্দোলনের সব দাবি মেনে নিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নও শুরু করেছি। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানেনিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।,
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০